নবম শ্রেণীর ভূগোল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সমস্ত প্রশ্ন এবং উত্তর পার্ট 1 । Class 9 Geography model activity tasks part 1 . প্রচলিত ও অপ্রচলিত শক্তির মধ্যে পার্থক্য .....
আজকে আমরা আলোচনা করব নবম শ্রেণীর ভূগোল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সমস্ত প্রশ্ন এবং উত্তর নিয়ে পার্ট 1 .
নবম শ্রেণীর ভূগোল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সমস্ত প্রশ্ন এবং উত্তর পার্ট 1

(১). সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহের মধ্যে একমাত্র পৃথিবীর জীবকুলের আবাসস্থল বক্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো।
উত্তর :- সৌরজগতের মােট আটটি গ্রহ রয়েছে। এদের মধ্যে সূর্যের থেকে দূরত্বের দিক দিয়ে পৃথিবীর তৃতীয় স্থানে বয়েছে। সৌরজগতের মাত্র পৃথিবীতে জীবের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায় কারণ এই গ্রহে জীবের বেঁচে থাকার উপযােগী পরিবেশ রয়েছে। কি কি কারনে পৃথিবীতে একমাত্র জীবের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায় তা নিচে আলােচিত হলো।
পৃথিবীর উষ্ণতা :- সূর্য গ্রহ গুলো কে উত্তপ্ত করে । সূর্য থেকে পৃথিবীর এমন এক দূরত্ব রয়েছে যার ফলে পৃথিবীর গড় উষ্ণতা 15 ডিগ্রী সেলসিয়াস থাকে যা মানুষ তথা সমস্ত জীবকুলের বসবাসের উপযোগী ।
পৃথিবীর গতি :- পৃথিবী সূর্য থেকে প্রায় 15 কোটি কিলােমিটার দূরে অবস্থিত। পৃথিবী নিজের অক্ষের চারপাশে আবর্তন করায় দিনরাত্রি সংঘটিত হয় ফলস্বরূপ জীবকুলএর অস্তিত্ব পৃথিবীতে রয়েছে। যদি পৃথিবী আবর্তন না করত পৃথিবীর একপাশে অধিক উষ্ণতার কারণে এবং অপর পাশে অধিক শীতলতার কারণে জীবের অস্তিত্ব বিপন্ন হত।অন্যদিকে পৃথিবীর পরিক্রমণ গতির জন্য ঋতু পরিবর্তন হয়। উভয় গতির জন্য মানুষের কাজকর্ম এবং বিভিন্ন প্রকার ফসল চাষের উপযােগী পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
পৃথিবীর অভিকর্ষ বল :- পৃথিবীর অভিকর্ষ বল এমন এক আদর্শ অবস্থায় রয়েছে যার ফলে মানুষ তথা জীবের বেঁচে থাকার উপযােগী হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন প্রভৃতি দেশগুলির ঠিক ঠিক মাত্রায় বায়ুমন্ডলের মধ্যে রয়েছে।
জলের উপস্থিতি :- জীবনধারণের অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান জল । পৃথিবীতে জলের যোগান অক্ষুন্ন রয়েছে জলচক্র এর মাধ্যমে । জল পৃথিবীর জীবের ধারক ।
অক্সিজেন উপস্থিতি :- অক্সিজেন ছাড়া প্রাণী জগৎ এক মুহূর্ত বাঁচতে পারে না । জীবের ব্যাপক জারণ , বিজারণ প্রভূতি কাজের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন একমাত্র পৃথিবীতে পাওয়া যায় ।
(২). চিত্রসহ দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্যের হ্রাস বৃদ্ধির সংঘটন বর্ণনা করো।
উত্তর:- পৃথিবীর অভিগত গোলক আকৃতি পৃথিবীর আবর্তন গতি কে উপবৃত্তাকার কক্ষপথ, পৃথিবীর পরিক্রমণ গতি, অক্ষরেখা ৬৬ ১/২ ডিগ্রী কোণে হেলে অবস্থান করায় পৃথিবীর সর্বত্র সব সময় দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য সমান থাকে না। নিন্মলিখিতভাবে পৃথিবীর দিন ও রাতের দৈর্ঘ্যের হ্রাস বৃদ্ধি হয়ে থাকে।
21 জুন (কর্কট সংক্রান্তি)-- উত্তর গোলার্ধে দীর্ঘতম দিন :-
পৃথিবী সূর্যের চারপাশে পরিক্রমণ করতে করতে 21 জুন তারিখে এমন একটা পর্যায়ে উপস্থিত হয় যখন সূর্য কর্কটক্রান্তি বেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। এই সময় উত্তর গােলার্ধ সূর্যের সবচেয়ে কাছে থাকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে সবচেয়ে দূরে । এই সুমেরুবৃত্ত থেকে সুমেরু বিন্দু পর্যন্ত 24 ঘন্টা সূর্যের আলো পেয়ে থাকে অর্থাৎ 24 ঘন্টায় দিন সেই সময় কুমেরু বৃত্ত থেকে কুমেরু বিন্দু পর্যন্ত 24 ঘণ্টা রাত হয় ।
পৃথিবী সূর্যের চারপাশে পরিক্রমণ করতে করতে 21 জুন তারিখে এমন একটা পর্যায়ে উপস্থিত হয় যখন সূর্য কর্কটক্রান্তি বেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। এই সময় উত্তর গােলার্ধ সূর্যের সবচেয়ে কাছে থাকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে সবচেয়ে দূরে । এই সুমেরুবৃত্ত থেকে সুমেরু বিন্দু পর্যন্ত 24 ঘন্টা সূর্যের আলো পেয়ে থাকে অর্থাৎ 24 ঘন্টায় দিন সেই সময় কুমেরু বৃত্ত থেকে কুমেরু বিন্দু পর্যন্ত 24 ঘণ্টা রাত হয় ।
![]() |
| এই ছবিটা আঁকতে হবে । |
21 মার্চ ও 23 সেপ্টেম্বর :- বছরে মাত্র এই দুটি দিনে সূর্য নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয় ফলে উত্তর এবং দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্য থেকে সমান দূরত্বে অবস্থান করে এবং ছায়া বৃত্ত সমস্ত অক্ষরেখা কে সমান দুই ভাগে ভাগ করে। ফলে পৃথিবীর সর্বত্র দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য সমান হয় অর্থাৎ 12 ঘন্টা করে হয়।
বিষব কথার অর্থ সমান ২১ শে মার্চকে মহাবিষুব এবং ২৩ শে সেপ্টেম্বর কে জলবিষুব বলে
![]() |
| এই ছবিটা আঁকতে হবে । |
22 ডিসেম্বর:-
22 ডিসেম্বর তারিখে সূর্য মকরক্রান্তি রেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। ফলে দক্ষিণ গোলার্ধ এই সময় সূর্যের সবচেয়ে কাছের অবস্থান করে এবং উত্তর গোলার্ধ দূরে অবস্থান করে। কুমেরু বৃত্ত থেকে কুমেরু বিন্দু পর্যন্ত এই সময় 24 ঘন্টা দিন থাকে এবং সুমেরু বৃত্ত থেকে সুমেরু বিন্দু পর্যন্ত এই সময় 24 ঘন্টা রাত থাকে।
এই দিনটিতে উত্তর গােলার্ধে দিন সবচেয়ে ছােট হয় এবং দক্ষিণ গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড় হয়।
(৩) প্রচলিত ও অপ্রচলিত শক্তির মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করাে।
উত্তর :-
| প্রচলিত শক্তি | অপ্রচলিত শক্তি |
|---|---|
| বহুদিন ধরে ব্যবহার করা প্রচলিত পদ্ধতিতে উৎপাদন করা শক্তি হলো প্রচলিত শক্তি | প্রকৃতির বিভিন্ন উৎস কে কাজে লাগিয়ে পরিবেশ মিত্র নতুন পদ্ধতিতে উৎপাদিত শক্তি ও অপ্রচলিত শক্তি |
| কয়লা খনিজ তেল প্রাকৃতিক গ্যাস এবং তেজস্ক্রিয় পদার্থ এছাড়া প্রবাহমান জল থেকেও বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় । | সূর্যালোক বায়ু প্রবাহ জোয়ার ভাটা ভূতাপ জৈব বর্জ্য প্রভৃতি অপ্রচলিত শক্তি । |
| প্রচলিত পদ্ধতিতে একসঙ্গে প্রচুর বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন সম্ভব তাই বড় বড় কল কারখানায় এই শক্তির ব্যবহার বেশি | এই পদ্ধতিতে এখনো পর্যন্ত উৎস খুব বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হয়নি তাই ছোট ছোট কারখানায় বাড়িতে রান্নার কাজে এই শক্তি ব্যবহার হয় । |
| জল বিদ্যুৎ ছাড়া বাকি উৎস গুলি পরিবেশে ব্যাপক ক্ষতি করে | সম্পূর্ণ পরিবেশ মিত্র বিদ্যুৎ উৎপাদন পদ্ধতি । |
(৪). সম্পদ সংরক্ষণের সম্ভাব্য উপায়গুলি লেখাে।
উত্তর :-
(1) সম্পদের অপ্রয়োজনীয় উৎপাদন এবং ব্যবহার কমাতে হবে।
(2) সম্পদের অগ্রাধিকারভিত্তিক ব্যবহার করতে হবে।
(3) বিজ্ঞানসম্মত উপায় এ সম্পদ ব্যবহার করতে হবে এবং অপচয় রোধ করতে হবে।
(4) উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সম্পদের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে হবে।
(5) সম্পদের পূর্ণ ব্যবহার করতে হবে।
(6) পুনর্ভব সম্পদ এর পরিকল্পনামাফিক ব্যবহার করতে হবে ।
(7) সম্পদের পুনরায় ব্যবহার করে সম্পদ সংরক্ষণ করা যায় ।
(8) সম্পদ সংরক্ষণ করার জন্য সরকারকে কড়া আইন তৈরি করতে হবে ।
---------------------------------------------------------------------------------
নবম শ্রেণীর ভূগোল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সমস্ত প্রশ্ন এবং উত্তর পার্ট 2 । Class 9 Geography Model Activity task part 2 । কী কী কাজে GPS ব্যবহৃত হয় ..
আজকে আমরা আলোচনা করব নবম শ্রেণীর ভূগোল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সমস্ত প্রশ্ন এবং উত্তর নিয়ে পার্ট 2

৩. পৃথিবী নিজের অক্ষের চারদিকে আবর্তিত না হলে কী ঘটনা ঘটবে ?
উত্তর :- পৃথিবী গােলাকার। পৃথিবী নিজের অক্ষের চারিদিকে আবর্তিত হয় বলে পৃথিবীতে পর্যায়ক্রমে দিন ও রাত্রি সংঘটিত হয়। ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা কোথাও খুব বেশি অথবা খুব কম হয় না।
পৃথিবী যদি আবর্তিত না হতাে তাহলে পৃথিবীর যে দিক সূর্যের সামনে থাকত সেখানে চিরদিন এবং বিপরীত অংশে চির রাত্রি বিরাজ করে। ফলে সূর্যের সামনের অংশে প্রবল উষ্ণতা এবং বিপরীত দিকে প্রচন্ড শীতলতা বিরাজ করতাে। এই রূপ পরিবেশে কোন জীবের পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব হতাে না।
৪. বর্তমানে চিরাচরিত শক্তি অধিক প্রসার লাভ করছে কেন ?
উত্তর :- বর্তমানে চিরাচরিত শক্তি অধিক প্রসার লাভের কারণ -
• পূর্ণভব সম্পদ :- অচিরাচরিত শক্তি গুলি প্রকৃতিতে অফুরন্ত উৎস থেকে উৎপন্ন করা হয় বলে এগুলি শেষ হয়ে যায় না ।
• পরিবেশ দূষণ কম :- অচিরাচবিত শক্তি উৎপাদন করতে পরিবেশ দূষণ হয় না।
• স্বল্প উৎপাদন ব্যয় :- অচিরাচরিত শক্তির উৎস গুলি ভূপৃষ্ঠের সর্বত্র সহজলভ্য এবং পরিবহনের কোন প্রয়োজন হয় না ফলে উৎপাদন ব্যয় অত্যন্ত কম।
• স্বল্প বাজারদর :- অচিরাচরিত শক্তির উৎপাদন ব্যয় কম বলে এর বাজার দর অনেক কম।
• নিরাপদ ব্যবহার :- অচিরাচরিত শক্তির ব্যবহার অনেক সহজ এবং নিরাপদ।
• সল্প মূলধন :- অচিরাচরিত শক্তি স্বল্প স্থানে ব্যবহার করা হয় বলে এই প্রকার শক্তি উৎপাদনে প্রচুর মূলধনের প্রয়োজন হয় না।
নবম শ্রেণীর ভূগোল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সমস্ত প্রশ্ন এবং উত্তর পার্ট 2

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখাে :
১. কীভাবে কোরিওলিস প্রভাব বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্রস্রোত কে প্রভাবিত করে ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর :-
• পৃথিবীর আবর্তন গতির ফলে সৃষ্ট যে বলের প্রভাবে বায়ু প্রবাহ সমুদ্রস্রোত প্রভৃতির গতি বিক্ষেপ হয় তাকে কোরিওলিস বল বলে। 1835 সালে ফরাসি পদার্থবিদ এবং গণিতজ্ঞ জি জি কোরিওলিস এই ঘটনা প্রথম লক্ষ্য করেন। তার নাম অনুসারে এই বলকে কোরিওলিস বল বলে।
বায়ু প্রবাহ এবং সমুদ্র স্রোতের উপর কোরিওলিস বলের প্রভাব আলোচনা করা হলো ।
বায়ু প্রবাহের উপর প্রভাব :- পৃথিবীর উপর প্রবাহিত বায়ু কোরিওলিস বলের প্রভাবে উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেকে প্রবাহিত হয়। নিয়ত বায়ু যেমন আয়ন বায়ু, পশ্চিমা বায়ু এবং মেরু বায়ু কোরিওলিস বলের প্রভাবে সারা বছর নবী সমগ্র পৃথিবী ব্যাপী উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে প্রবাহিত হয়। কোরিওলিস বলের প্রভাবে উত্তর গোলার্ধের ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার দিকে চক্রাকারে আবর্তিত হয় ।
সুমদ্র স্রোতের উপর প্রভাব :- প্রশান্ত মহাসাগর আটলান্টিক মহাসাগর ভারত মহাসাগর প্রভৃতি মহাসাগরের সমুদ্র স্রোত গুলি কোরিওলিস বলের প্রভাবে উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে প্রবাহিত হয়। যেমন- আটলান্টিক মহাসাগর উপসাগরীয় স্রোত এবং প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরীয় স্রোত উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে বেঁকে উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়।
২. কী কী কাজে GPS ব্যবহৃত হয় ?
উত্তর :- কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে ভূপৃষ্ঠের কোন স্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ নির্ণয় করে সেই স্থানের অবস্থান নির্ণয় পদ্ধতিকে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম(Global Positioning System) বা সংক্ষেপে GPS বলে।
(i) এব ব্যবহার গুলি নিম্নে আলােচিত হলাে :
(ii) কোন দেশ বা অঞ্চলের বনভূমি রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিকল্পনা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত হয়।
(iii) ভূমি ব্যবহার সংক্রান্ত সমীক্ষার কাজে GPS ব্যবহৃত হয়।
(iv) সমুদ্র তলদেশের মানচিত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
(v) সমুদ্রে মাছের সঠিক অবস্থান নির্ণয়ের GPS এর সাহায্য নেওয়া হয়। ফলে সমুদ্রে জেলেরা সঠিক স্থান নির্ণয়ের মাধ্যমে প্রচুর মাছ সংগ্রহ করতে পারে
(vi) পরিবেশ সংক্রান্ত সমীক্ষার কাজে GPS ব্যবহার করা হয় ।
(Vii) নগর পরিকল্পনার কাজে GPS ব্যবহার করা হয় ।
(Viii) কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য GPS এর সাহায্যে কৃষক দের সঠিক তথ্য সরবরাহ করা হয়
(ix) বায়ু মণ্ডলে সমীক্ষা করতে GPS ব্যবহৃত হয়।
১. কীভাবে কোরিওলিস প্রভাব বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্রস্রোত কে প্রভাবিত করে ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর :-
• পৃথিবীর আবর্তন গতির ফলে সৃষ্ট যে বলের প্রভাবে বায়ু প্রবাহ সমুদ্রস্রোত প্রভৃতির গতি বিক্ষেপ হয় তাকে কোরিওলিস বল বলে। 1835 সালে ফরাসি পদার্থবিদ এবং গণিতজ্ঞ জি জি কোরিওলিস এই ঘটনা প্রথম লক্ষ্য করেন। তার নাম অনুসারে এই বলকে কোরিওলিস বল বলে।
বায়ু প্রবাহ এবং সমুদ্র স্রোতের উপর কোরিওলিস বলের প্রভাব আলোচনা করা হলো ।
বায়ু প্রবাহের উপর প্রভাব :- পৃথিবীর উপর প্রবাহিত বায়ু কোরিওলিস বলের প্রভাবে উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেকে প্রবাহিত হয়। নিয়ত বায়ু যেমন আয়ন বায়ু, পশ্চিমা বায়ু এবং মেরু বায়ু কোরিওলিস বলের প্রভাবে সারা বছর নবী সমগ্র পৃথিবী ব্যাপী উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে প্রবাহিত হয়। কোরিওলিস বলের প্রভাবে উত্তর গোলার্ধের ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার দিকে চক্রাকারে আবর্তিত হয় ।
সুমদ্র স্রোতের উপর প্রভাব :- প্রশান্ত মহাসাগর আটলান্টিক মহাসাগর ভারত মহাসাগর প্রভৃতি মহাসাগরের সমুদ্র স্রোত গুলি কোরিওলিস বলের প্রভাবে উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে প্রবাহিত হয়। যেমন- আটলান্টিক মহাসাগর উপসাগরীয় স্রোত এবং প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরীয় স্রোত উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে বেঁকে উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়।
২. কী কী কাজে GPS ব্যবহৃত হয় ?
উত্তর :- কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে ভূপৃষ্ঠের কোন স্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ নির্ণয় করে সেই স্থানের অবস্থান নির্ণয় পদ্ধতিকে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম(Global Positioning System) বা সংক্ষেপে GPS বলে।
(i) এব ব্যবহার গুলি নিম্নে আলােচিত হলাে :
(ii) কোন দেশ বা অঞ্চলের বনভূমি রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিকল্পনা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত হয়।
(iii) ভূমি ব্যবহার সংক্রান্ত সমীক্ষার কাজে GPS ব্যবহৃত হয়।
(iv) সমুদ্র তলদেশের মানচিত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
(v) সমুদ্রে মাছের সঠিক অবস্থান নির্ণয়ের GPS এর সাহায্য নেওয়া হয়। ফলে সমুদ্রে জেলেরা সঠিক স্থান নির্ণয়ের মাধ্যমে প্রচুর মাছ সংগ্রহ করতে পারে
(vi) পরিবেশ সংক্রান্ত সমীক্ষার কাজে GPS ব্যবহার করা হয় ।
(Vii) নগর পরিকল্পনার কাজে GPS ব্যবহার করা হয় ।
(Viii) কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য GPS এর সাহায্যে কৃষক দের সঠিক তথ্য সরবরাহ করা হয়
(ix) বায়ু মণ্ডলে সমীক্ষা করতে GPS ব্যবহৃত হয়।
৩. পৃথিবী নিজের অক্ষের চারদিকে আবর্তিত না হলে কী ঘটনা ঘটবে ?
উত্তর :- পৃথিবী গােলাকার। পৃথিবী নিজের অক্ষের চারিদিকে আবর্তিত হয় বলে পৃথিবীতে পর্যায়ক্রমে দিন ও রাত্রি সংঘটিত হয়। ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা কোথাও খুব বেশি অথবা খুব কম হয় না।
পৃথিবী যদি আবর্তিত না হতাে তাহলে পৃথিবীর যে দিক সূর্যের সামনে থাকত সেখানে চিরদিন এবং বিপরীত অংশে চির রাত্রি বিরাজ করে। ফলে সূর্যের সামনের অংশে প্রবল উষ্ণতা এবং বিপরীত দিকে প্রচন্ড শীতলতা বিরাজ করতাে। এই রূপ পরিবেশে কোন জীবের পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব হতাে না।
৪. বর্তমানে চিরাচরিত শক্তি অধিক প্রসার লাভ করছে কেন ?
উত্তর :- বর্তমানে চিরাচরিত শক্তি অধিক প্রসার লাভের কারণ -
• পূর্ণভব সম্পদ :- অচিরাচরিত শক্তি গুলি প্রকৃতিতে অফুরন্ত উৎস থেকে উৎপন্ন করা হয় বলে এগুলি শেষ হয়ে যায় না ।
• পরিবেশ দূষণ কম :- অচিরাচবিত শক্তি উৎপাদন করতে পরিবেশ দূষণ হয় না।
• স্বল্প উৎপাদন ব্যয় :- অচিরাচরিত শক্তির উৎস গুলি ভূপৃষ্ঠের সর্বত্র সহজলভ্য এবং পরিবহনের কোন প্রয়োজন হয় না ফলে উৎপাদন ব্যয় অত্যন্ত কম।
• স্বল্প বাজারদর :- অচিরাচরিত শক্তির উৎপাদন ব্যয় কম বলে এর বাজার দর অনেক কম।
• নিরাপদ ব্যবহার :- অচিরাচরিত শক্তির ব্যবহার অনেক সহজ এবং নিরাপদ।
• সল্প মূলধন :- অচিরাচরিত শক্তি স্বল্প স্থানে ব্যবহার করা হয় বলে এই প্রকার শক্তি উৎপাদনে প্রচুর মূলধনের প্রয়োজন হয় না।
----------------------------------------------------------------------------------------------------------
নবম শ্রেণীর ভূগোল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সমস্ত প্রশ্ন এবং উত্তর পার্ট 3 । Class 9 Geography Model Activity Task Part 3 । চিত্রসহ পৃথিবীর তাপমণ্ডলের বিবরণ দাও..।
আজকে আমরা আলোচনা করব নবম শ্রেণীর ভূগোল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সমস্ত প্রশ্ন এবং উত্তর নিয়ে পার্ট 3

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১. চিত্রসহ পৃথিবীর তাপমণ্ডলের বিবরণ দাও।
উত্তর :- পৃথিবী গােলাকার হওয়ায় বিভিন্ন অক্ষাংশ যুক্ত অঞ্চলে সূর্য রশ্মি বিভিন্ন কোনে কিরণ দেয়। কোথাও লম্ব হবে কোথাও তীর্যকভাবে সূর্য রশ্মি ভূপৃষ্ঠের উপর পতিত হয়। ফলস্বরূপ অক্ষাংশের ভিত্তিতে একেকটি উষ্ণতা যুক্ত অঞ্চল পৃথিবীকে
বলের আকারে বেষ্টন করে আছে। এদের তাপবলয় বলা হয়। মােট পাঁচটি তাপবলয় পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে। মূলত এই তাপবলয় গুলিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
নিরক্ষরেখার উত্তবে কর্কটক্রান্তি রেখা থেকে নিরক্ষরেখার দক্ষিনে মকর ক্রান্তি রেখা পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চল উষ্ণ মন্ডল নামে পরিচিত। সারাবছর সূর্যরশ্মি লম্বভাবে বা প্রায় লম্ব হবে পতিত হওয়ায় এবং দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য প্রায় সমান হওয়ায় এখানে উষ্ণমন্ডল গড়ে উঠেছে।
বৈশিষ্ট্য
• সারাবছর এখানে সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পতিত হয়।
• সারাবছর দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য প্রায় সমান থাকে।
• বার্ষিক গড় উষ্ণতা 27 ডিগ্রি সেলসিয়াস।
• অন্যান্য তাপমন্ডল এর তুলনায় উষ্ণতা এখানে বেশি থাকে।
• বার্ষিক উষ্ণতার প্রসর কম হয়।
• এই অঞ্চলে ঋতু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় না৷

B.নাতিশীতােষ্ণ মন্ডল - উত্তর গােলার্ধে কর্কটক্রান্তি রেখা থেকে সুমেরুবৃত্ত পর্যন্ত এবং দক্ষিণ গোলার্ধে মকর ক্রান্তি রেখা থেকে কুমেরু বৃত্ত পর্যন্ত অঞ্চল নাতিশীতােষ্ণ মন্ডল নামে পরিচিত। উত্তর গোলার্ধে নাতিশীতােষ্ণ মন্ডলকে উত্তর নাতিশীতােষ্ণ মন্ডল এবং দক্ষিণ গোলার্ধে নাতিশীতােষ্ণ মন্ডলকে দক্ষিণ নাতিশীতোষ্ণ মন্ডল বলে। সূর্য রশ্মির পতনকোন মধ্যম প্রকৃতির হওয়ায় নাতিশীতোষ্ণ মন্ডল সৃষ্টি হয়েছে।
বৈশিষ্ট্য-
• সূর্য রশ্মির পতন কোন মধ্যম প্রকৃতির ।
• গড় উষ্ণতা 0 ডিগ্রি থেকে 27 ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ।
• নিম্ন অক্ষাংশ থেকে উচ্চ অক্ষাংশের দিকে তাপমাত্রা দ্রুত কমতে থাকে।
• বার্ষিক উষ্ণতার প্রসর অধিক হয়।
• উষ্ণতার বিচাবে নাতিশীতােষ্ণ মন্ডলকে উষ্ণ নাতিশীতােষ্ণ মন্ডল এবং শীতল নাতিশীতােষ্ণ মন্ডল এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
c.হিমমন্ডল
উত্তর গোলার্ধে সুমেরু বৃত্ত থেকে সুমেরু বিন্দু পর্যন্ত এবং দক্ষিণ গোলার্ধে কুমেরু বৃত্ত থেকে কুমেরু বিন্দু পর্যন্ত অঞ্চল মন্ডল নামে পরিচিত। উত্তর গোলার্ধে হিমমন্ডলকে উত্তর হিমমন্ডল এবং দক্ষিণ গোলার্ধে হিমমন্ডল কে দক্ষিণ হিমমন্ডল বলে।
বৈশিষ্ট্য -
• সূর্যরাশি অত্যন্ত তীর্যকভাবে কিরণ দেয়।
• দিনও রাত্রের দৈর্ঘ্যের পার্থক্য অনেক বেশি।
• বার্ষিক গড় উষ্ণতা ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর কম হয়।
• অঞ্চলের অধিকাংশ সময় বরফে ঢাকা থাকে।
• মাঝে মাঝে অরোরা দেখা যায়।
২. যুক্তি সহকারে নিরক্ষরেখাকে মহাবৃত্ত বলার কারণ ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর :- প্রত্যেকটি অক্ষরেখা পূর্ণবৃত্ত। একমাত্র নিরক্ষরেখা ছাড়া সব অক্ষরেখার পরিধি নিরক্ষরেখার তুলনায় কম অর্থাৎ ক্ষুদ্র বৃত্ত। নিরক্ষরেখা পৃথিবীর উপরে অবস্থিত সবচেয়ে বড় বৃত্ত। এর থেকে
৩. ভূজালকের সাহায্যে কীভাবে পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনাে স্থানের অবস্থান নির্ণয় করা হয় ?
উত্তর :- ভুপৃষ্ঠস্থ সমমানের অক্ষাংশের বিশিষ্ট স্থানগুলো যােগ করে পূর্ব-পশ্চিমে অক্ষরেখা অঙ্কন করা সম্ভব হয়েছে। দ্রাঘিমা বিশিষ্ট স্থানগুলো যােগ করে উত্তর-দক্ষিণে দ্রাঘিমারেখা অক্ষন করা হয়েছে। এরা পরস্পরের সঙ্গে লম্বভাবে অবস্থান করে পৃথিবীকে বেষ্টন করে জাল বা গ্রিড অর্থাৎ ভৌগােলিক জালক (Geographical Grid) গঠন করেছে। প্রায় 250 খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রিক জ্যোতির্বিদ এরাটোস্থেনিস ও হিপারকাস ভৌগােলিক জালকের সাহায্যে কোনাে স্থানের অবস্থান নির্ণয় সম্পর্কে ধারণা দেন। সাধারণত গ্লোবের উপর অক্ষরেখা ও প্রতিমা রেখার সাহায্যে ভৌগোলিক জালক সৃষ্টি হয় এই জালকের ছেদবিন্দুগুলির সাহায্যে ভূপৃষ্ঠের যে-কোনাে স্থানের অবস্থান নির্ণয় সুতরাং, কোন স্থানের রখা ও দ্রাঘিমারেখার ছেদবিন্দুই হল সেই স্থানের প্রকৃত অবস্থান। এই পতিতে দুটি উপায়ে অবস্থান নির্ণয় করা যায়
(১.) স্বল্প পরিসর স্থানের ক্ষেত্রে কত ডিগ্রি অক্ষরেখা কত ডিগ্রি দ্রাঘিমারেখা ওই নির্দিষ্ট স্থানে ছেদ করেছে সেই ছেদবিন্দু বা স্থানাঙ্ক বিন্দুই ওই স্থানের প্রকৃত অবস্থান। যেমন কলকাতা 22°24' উত্তর অক্ষরেখা ও 88°30 পূর্ব দ্রাঘিমা রেখায় ছেদ বিন্দুতে অবস্থিত।
(২.) কোনাে দেশ বা অঞ্চলের ক্ষেত্রে ওই দেশ বা অঞ্চল উত্তরে বা দক্ষিণে কত ডিগ্রি অক্ষরেখা এবং পূর্বে ও পশ্চিমে কত ডিগ্রি দ্রাঘিমারেখার মধ্যে অবস্থিত সেটাকেই ওই স্থানের প্রকৃত অবস্থান বলে। যেমন ভারত দক্ষিণে 8°4' উত্তর অক্ষরেখা থেকে উত্তরে 37°6' উত্তর অক্ষরেখা পর্যন্ত এবং পশ্চিমে 68°7' পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে 97°25' পূর্ব দ্রাঘিমার মধ্যে অবস্থান করছে।
উত্তর :- আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার সর্বত্র 180° দ্রাঘিমা রেখা কে অনুসরণ করেনি। মাঝে মাঝে পূর্বে বা পশ্চিমে বাঁকিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা কে না বাঁকালে একই মহাদেশের অন্তর্গত দেশ ও দ্বীপপুঞ্জে দুই ধরনের তারিখ ও সময় সূচিত হত। ফলে ওই সমস্ত অঞলে অধিবাসীদের মধ্যে তারিখ ও সময় নিয়ে বিভ্রান্তি এড়াতে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা বাঁকিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই রেখাকে (১) অ্যালুসিয়ান দ্বীপপুঞ্জের কাছে 7°, (2) চ্যাথাম, ফিজি, টোঙ্গা প্রভৃতি দ্বীপপুঞ্জের কাছে 11° পূর্বে,(৩) গিলবার্ট ফোনেক্স, লাইন আইল্যান্ডে পূর্বে 35° বাঁকানাে হয়েছে।
নবম শ্রেণীর ভূগোল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সমস্ত প্রশ্ন এবং উত্তর পার্ট 3

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১. চিত্রসহ পৃথিবীর তাপমণ্ডলের বিবরণ দাও।
উত্তর :- পৃথিবী গােলাকার হওয়ায় বিভিন্ন অক্ষাংশ যুক্ত অঞ্চলে সূর্য রশ্মি বিভিন্ন কোনে কিরণ দেয়। কোথাও লম্ব হবে কোথাও তীর্যকভাবে সূর্য রশ্মি ভূপৃষ্ঠের উপর পতিত হয়। ফলস্বরূপ অক্ষাংশের ভিত্তিতে একেকটি উষ্ণতা যুক্ত অঞ্চল পৃথিবীকে
বলের আকারে বেষ্টন করে আছে। এদের তাপবলয় বলা হয়। মােট পাঁচটি তাপবলয় পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে। মূলত এই তাপবলয় গুলিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
নিরক্ষরেখার উত্তবে কর্কটক্রান্তি রেখা থেকে নিরক্ষরেখার দক্ষিনে মকর ক্রান্তি রেখা পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চল উষ্ণ মন্ডল নামে পরিচিত। সারাবছর সূর্যরশ্মি লম্বভাবে বা প্রায় লম্ব হবে পতিত হওয়ায় এবং দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য প্রায় সমান হওয়ায় এখানে উষ্ণমন্ডল গড়ে উঠেছে।
বৈশিষ্ট্য
• সারাবছর এখানে সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পতিত হয়।
• সারাবছর দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য প্রায় সমান থাকে।
• বার্ষিক গড় উষ্ণতা 27 ডিগ্রি সেলসিয়াস।
• অন্যান্য তাপমন্ডল এর তুলনায় উষ্ণতা এখানে বেশি থাকে।
• বার্ষিক উষ্ণতার প্রসর কম হয়।
• এই অঞ্চলে ঋতু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় না৷

B.নাতিশীতােষ্ণ মন্ডল - উত্তর গােলার্ধে কর্কটক্রান্তি রেখা থেকে সুমেরুবৃত্ত পর্যন্ত এবং দক্ষিণ গোলার্ধে মকর ক্রান্তি রেখা থেকে কুমেরু বৃত্ত পর্যন্ত অঞ্চল নাতিশীতােষ্ণ মন্ডল নামে পরিচিত। উত্তর গোলার্ধে নাতিশীতােষ্ণ মন্ডলকে উত্তর নাতিশীতােষ্ণ মন্ডল এবং দক্ষিণ গোলার্ধে নাতিশীতােষ্ণ মন্ডলকে দক্ষিণ নাতিশীতোষ্ণ মন্ডল বলে। সূর্য রশ্মির পতনকোন মধ্যম প্রকৃতির হওয়ায় নাতিশীতোষ্ণ মন্ডল সৃষ্টি হয়েছে।
বৈশিষ্ট্য-
• সূর্য রশ্মির পতন কোন মধ্যম প্রকৃতির ।
• গড় উষ্ণতা 0 ডিগ্রি থেকে 27 ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ।
• নিম্ন অক্ষাংশ থেকে উচ্চ অক্ষাংশের দিকে তাপমাত্রা দ্রুত কমতে থাকে।
• বার্ষিক উষ্ণতার প্রসর অধিক হয়।
• উষ্ণতার বিচাবে নাতিশীতােষ্ণ মন্ডলকে উষ্ণ নাতিশীতােষ্ণ মন্ডল এবং শীতল নাতিশীতােষ্ণ মন্ডল এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
c.হিমমন্ডল
উত্তর গোলার্ধে সুমেরু বৃত্ত থেকে সুমেরু বিন্দু পর্যন্ত এবং দক্ষিণ গোলার্ধে কুমেরু বৃত্ত থেকে কুমেরু বিন্দু পর্যন্ত অঞ্চল মন্ডল নামে পরিচিত। উত্তর গোলার্ধে হিমমন্ডলকে উত্তর হিমমন্ডল এবং দক্ষিণ গোলার্ধে হিমমন্ডল কে দক্ষিণ হিমমন্ডল বলে।
বৈশিষ্ট্য -
• সূর্যরাশি অত্যন্ত তীর্যকভাবে কিরণ দেয়।
• দিনও রাত্রের দৈর্ঘ্যের পার্থক্য অনেক বেশি।
• বার্ষিক গড় উষ্ণতা ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর কম হয়।
• অঞ্চলের অধিকাংশ সময় বরফে ঢাকা থাকে।
• মাঝে মাঝে অরোরা দেখা যায়।
২. যুক্তি সহকারে নিরক্ষরেখাকে মহাবৃত্ত বলার কারণ ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর :- প্রত্যেকটি অক্ষরেখা পূর্ণবৃত্ত। একমাত্র নিরক্ষরেখা ছাড়া সব অক্ষরেখার পরিধি নিরক্ষরেখার তুলনায় কম অর্থাৎ ক্ষুদ্র বৃত্ত। নিরক্ষরেখা পৃথিবীর উপরে অবস্থিত সবচেয়ে বড় বৃত্ত। এর থেকে
৩. ভূজালকের সাহায্যে কীভাবে পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনাে স্থানের অবস্থান নির্ণয় করা হয় ?
উত্তর :- ভুপৃষ্ঠস্থ সমমানের অক্ষাংশের বিশিষ্ট স্থানগুলো যােগ করে পূর্ব-পশ্চিমে অক্ষরেখা অঙ্কন করা সম্ভব হয়েছে। দ্রাঘিমা বিশিষ্ট স্থানগুলো যােগ করে উত্তর-দক্ষিণে দ্রাঘিমারেখা অক্ষন করা হয়েছে। এরা পরস্পরের সঙ্গে লম্বভাবে অবস্থান করে পৃথিবীকে বেষ্টন করে জাল বা গ্রিড অর্থাৎ ভৌগােলিক জালক (Geographical Grid) গঠন করেছে। প্রায় 250 খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রিক জ্যোতির্বিদ এরাটোস্থেনিস ও হিপারকাস ভৌগােলিক জালকের সাহায্যে কোনাে স্থানের অবস্থান নির্ণয় সম্পর্কে ধারণা দেন। সাধারণত গ্লোবের উপর অক্ষরেখা ও প্রতিমা রেখার সাহায্যে ভৌগোলিক জালক সৃষ্টি হয় এই জালকের ছেদবিন্দুগুলির সাহায্যে ভূপৃষ্ঠের যে-কোনাে স্থানের অবস্থান নির্ণয় সুতরাং, কোন স্থানের রখা ও দ্রাঘিমারেখার ছেদবিন্দুই হল সেই স্থানের প্রকৃত অবস্থান। এই পতিতে দুটি উপায়ে অবস্থান নির্ণয় করা যায়
(১.) স্বল্প পরিসর স্থানের ক্ষেত্রে কত ডিগ্রি অক্ষরেখা কত ডিগ্রি দ্রাঘিমারেখা ওই নির্দিষ্ট স্থানে ছেদ করেছে সেই ছেদবিন্দু বা স্থানাঙ্ক বিন্দুই ওই স্থানের প্রকৃত অবস্থান। যেমন কলকাতা 22°24' উত্তর অক্ষরেখা ও 88°30 পূর্ব দ্রাঘিমা রেখায় ছেদ বিন্দুতে অবস্থিত।
(২.) কোনাে দেশ বা অঞ্চলের ক্ষেত্রে ওই দেশ বা অঞ্চল উত্তরে বা দক্ষিণে কত ডিগ্রি অক্ষরেখা এবং পূর্বে ও পশ্চিমে কত ডিগ্রি দ্রাঘিমারেখার মধ্যে অবস্থিত সেটাকেই ওই স্থানের প্রকৃত অবস্থান বলে। যেমন ভারত দক্ষিণে 8°4' উত্তর অক্ষরেখা থেকে উত্তরে 37°6' উত্তর অক্ষরেখা পর্যন্ত এবং পশ্চিমে 68°7' পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে 97°25' পূর্ব দ্রাঘিমার মধ্যে অবস্থান করছে।
৪. ১৮০° প্রাঘিমারেখাকে সম্পূর্ণ অনুসরণ করে মানচিত্রে আস্তর্জাতিক তারিখরেখা অঙ্কন করা হয়নি কেন ?
উত্তর :- আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার সর্বত্র 180° দ্রাঘিমা রেখা কে অনুসরণ করেনি। মাঝে মাঝে পূর্বে বা পশ্চিমে বাঁকিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা কে না বাঁকালে একই মহাদেশের অন্তর্গত দেশ ও দ্বীপপুঞ্জে দুই ধরনের তারিখ ও সময় সূচিত হত। ফলে ওই সমস্ত অঞলে অধিবাসীদের মধ্যে তারিখ ও সময় নিয়ে বিভ্রান্তি এড়াতে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা বাঁকিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই রেখাকে (১) অ্যালুসিয়ান দ্বীপপুঞ্জের কাছে 7°, (2) চ্যাথাম, ফিজি, টোঙ্গা প্রভৃতি দ্বীপপুঞ্জের কাছে 11° পূর্বে,(৩) গিলবার্ট ফোনেক্স, লাইন আইল্যান্ডে পূর্বে 35° বাঁকানাে হয়েছে।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------
নবম শ্রেণীর ভূগোলের পৃথিবীর গতি সমূহ অধ্যায়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এবং উত্তর ।
আজকে আমরা আলোচনা করব নবম শ্রেণীর ভূগোলের পৃথিবীর গতি সমূহ অধ্যায়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এবং উত্তর যেগুলো আমাদের জানা এবং পড়া অত্যন্ত প্রয়োজন ।
কমবেশি ১৫০ টি শব্দের মধ্যে উত্তর দাও। প্রতিটা প্রশ্নের মান- (৫)

(১) নিউজিল্যান্ডে গ্রীষ্মকালে বড়দিন পালন করা হয় কেন ?
উত্তর - নিউজিল্যান্ডে গ্রীষ্মকালে বড়দিন পালন করা হয় তার কারণ হলো নিউজিল্যান্ড দক্ষিণ গোলার্ধের একটি দেশ। সূর্যকে পরিক্রমণ করার সময়, নভেম্বর থেকে জানুয়ারি এই তিন মাস পৃথিবী তার কক্ষপথে এমনভাবে অবস্থান করে যে, এইসময় দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের দিকে ঝুঁকে থাকে এবং উত্তর গোলার্ধ সূর্য থেকে দূরে থাকে। তাই, নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসে উত্তর গোলার্ধে শীতকাল হয় এবং দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল হয়। যেহেতু বড়দিন পালন করা হয় 25 ডিসেম্বর, তাই তখন দক্ষিণ গোলার্ধে গৃষ্ম কাল এবং উত্তর গোলার্ধে শীতকাল। এইজন্য নিউজিল্যান্ডে গ্রীষ্মকালে বড়দিন পালন করা হয় ।
(২) নিরক্ষরেখা থেকে মেরুর দিকে উত্তাপ কমে যায় কখন ?
উত্তর - নিরক্ষরেখা থেকে মেরুর দিকে ক্রমশ উত্তাপ কমে যায় তার কারণ হল—পৃথিবীর গােলীয় আকার, পরিক্রমণ গতি, পৃথিবীর মেরুরেখার সঙ্গে 66° কোণে অবস্থান ইত্যাদি কারণে ।পৃথিবীর সর্বত্র সূর্যের আলাে সমানভাবে পড়ে না এবং উত্তাপ সমান হয় না। নিরক্ষীয় অঞ্চলে সূর্যালােক লম্বভাবে এবং মেরুর দিকে হেলে পড়ে। তাই নিরক্ষীয় অঞ্লে উত্তাপ বেশি হয়। কিন্তু মেরু অঞ্চলে উত্তাপ কম হয়। এর কারণগুলি হল [1] তির্যক রশ্মি বেশি বায়ুস্তর ভেদ করে আসে তাই একে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়। [2] তির্যক রশ্মি অনেক বেশি জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে ।
(৩) প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত পৃথিবীর গতির পর্যবেক্ষণের ইতিহাস লেখো ?
উত্তর - পৃথিবীর গতি সম্বন্ধীয় বিভিন্ন পর্যবেক্ষণের ইতিহাস:- বহু প্রাচীনকাল থেকেই পৃথিবীর গতির প্রমাণ সম্পর্কে নানা ধরনের মতপার্থক্য ছিল। প্রাচীনকালের বহু দার্শনিক, বিজ্ঞানী, ভৌগােলিক, গণিতজ্ঞ, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা নানা বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে পৃথিবীর গতি সম্পর্কে নানা ধারণার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এরূপ মতপার্থক্যের ফলশ্রুতি হিসেবে দু-ধরনের মতবাদের সৃষ্টি হয়। যথা [1] পৃথিবীকেন্দ্রিক (geocentric) মতবাদ এবং [2] সূর্যকেন্দ্রিক (heliocentric) মতবাদ ।
পৃথিবী কেন্দ্রিক মতবাদ : প্রাচীনকালে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা পৃথিবীকেন্দ্রিক মহাবিশ্বের ধারণা পােষণ করতেন। তাঁরা মনে করতেন, পৃথিবীকে কেন্দ্র করে বৃত্তাকার পথে সূর্য, চাঁদ এবং অন্যান্য গ্রহরা ঘুরছে। এঁদের মধ্যে অ্যারিস্টটল (384-322 খ্রিস্টপূর্বাব্দ), হেরাক্লিড (330 খ্রিস্টপূর্বাব্দ), অ্যারিস্টার্কাস (312-230 খ্রিস্টপূর্বাব্দ), টলেমি (90-168 খ্রিস্টাব্দ) প্রমুখ প্রধান। প্লেটো মনে করতেন, ব্রহ্মান্ডের ঠিক মাঝখানে পৃথিবী অবস্থা করছে। মধ্যযুগে রোমান ক্যাথলিক চার্চ ও এই মতবাদের সমর্থক ছিলেন।
[2) সূর্যকেন্দ্রিক মতবাদ : ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী আর্যভট (476-550 খ্রি.) প্রথম বলেন যে, পৃথিবী স্থির নয় এটি গতিশীল এবং পৃথিবী প্রতিদিন একবার করে নিজ অক্ষে পাক খায়। তবে 1530 খ্রিস্টাব্দে পােল্যান্ডের জ্যোতির্বিজ্ঞানী নিকোলাস কোপারনিকাস তাঁর প্রন্থে প্রথম উল্লেখ করেন, পৃথিবী তার নিজের আক্ষের ওপর সর্বদা ঘুরছে। অর্থাৎ, তিনিই প্রথম সূর্য কেন্দ্রিক ধারণা দেন। পরবর্তীকালে জোহানেস কেপলার 1609 খ্রিস্টাব্দে বলেন, গ্রহগুলোর কক্ষপথ উপবৃত্তাকার। গ্যালিলিও গ্যালিলি দূরবীক্ষণ যন্ত্র তৈরি করেন এবং উপগ্রহগুলির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে সূর্যকেন্দ্রিক মতবাদকে সমর্থন করেন। পরে 1687 খ্রিস্টাব্দে স্যার আইজ্যাক নিউটন মহাকর্ষ সূত্রের সাহায্যে প্রমাণ করেন পৃথিবীসহ অন্যান্য গ্রহ গুলি সূর্যের চারিদিকে পরিক্রমণ করছে। এডমন্ড হ্যালি (1656-1742 খ্রি.) ধুমকেতু পর্যবেক্ষণ করে বলেন যে পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘুরছে। বর্তমানকালে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে প্রমাণ করা গেছে যে, সূর্যকেন্দ্রিক মতবাদটিই সঠিক।
(৪) পৃথিবীর আহ্নিক গতির সপক্ষে প্রমাণগুলি লেখ
উত্তর - পৃথিবীর আহ্নিক গতির সাপেক্ষে প্রমাণসমূহ: যে গতির দ্বারা পৃথিবী নিজ অক্ষ বা মেরুদণ্ডের ওপর পশ্চিম থেকে পর্বে (ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে) 23 ঘণ্টা 56 মিনিট 4 সেকেন্ডে বা প্রায় 24 ঘণ্টায় একবার আবর্তন করে, সেই গতিকে আবর্তন বা আহ্নিক গতি (rotational movement) বলা হয়। পৃথিবীর যে আহ্নিক গতি আছে তা বিভিন্নভাবে প্রমাণ করা যায়, যেমন-
[1] দিন ও রাতের পর্যায়ক্রমিক সংঘটন; - আবর্তন গতি আছে বলেই মােটামুটি প্রতি 24 ঘণ্টায় পৃথিবীর যে-কোন স্থান পর্যায়ক্রমে একবার সূর্যের সামনে আসে। যদি পৃথিবীর আবর্তন গতি না থাকত, তাহলে পৃথিবীর যে অংশ সূর্যের সামনে থাকত সেখানে সবসময়েই দিন ও বিপরীত অংশে চির অন্ধকার বা রাত বিরাজ করত।
[2] পৃথিবীর অভিগত গােলীয় আকৃতি: কোনাে নমনীয় বস্তু তার অক্ষরেখার চারিদিকে অনবরত আবর্তন করলে মাঝাখানে সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রবিমুখ শক্তির উদ্ভব হয় এবং এর ফলে বস্তুর মধ্যভাগ কিছুটা স্ফীত এবং প্রান্তদ্বয় কিছুটা চাপা হয়। পৃথিবী নিজের মেরুদণ্ডের চারিদিকে অনবরত আবর্তন করে চলেছে বলেই পৃথিবীর মেরুদ্বয় চাপা ও নিরক্ষীয় অংশ স্ফীত হয়েছে।
[3] খুব উঁচু স্থান থেকে পতনশীল প্রস্তরখণ্ডের আপাত সঞ্চালন পর্যবেক্ষণ: খুব উঁচু স্থান থেকে একটি প্রস্তরখণ্ড নিল বায়ুর মধ্য দিয়ে নীচে ফেলে দিলে দেখা যায় পাথরটি সােজাসুজি না পড়ে একটু পূর্বদিকে এগিয়ে পড়ে। পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে পৃথিবীর আবর্তন গতির জন্য ঘটনা ঘটে ।
[4]কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তােলা ছবি : মহাকাশে পাঠানাে বিভিন্ন কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে যে ছবি তােলা হয়েছে তা থেকে পৃথিবীর আবর্তন গতির নির্ভুল ও সর্বাধুনিক প্রমাণ পাওয়া যায়।
(৫) পৃথিবীর আহ্নিক গতির ফলাফল আলোচনা করো ।
উত্তর - পৃথিবীর যেকোনো একটি গতিবেগ গতির ফলাফল হল -- যে গতির সারা পৃথিবী নিজ অক্ষে মেরুদন্ডের উপরে পশ্চিম থেকে পূর্বে (ঘড়ির কাটার বিপরীতে) 2 মণ্টা এ মিনিট 4 সেকেন্ডে বা প্রায় 24 ঘণ্টায় একবার আবর্তন করে, সেই গতিকে আবর্তন বা আহ্নিক গতি বলা হয়।
পৃথিবীর আবর্তন গতির ফলাফল সমূহ ॥ [1]পর্যায়ক্রমে দিন ও রাত সংগঠন : পৃথিবী গােলাকার এবং নিজস্ব কোনাে আলো নেই। সূর্যের আলোতে পৃথিবী আলােকিত এবং উত্তপ্ত হয়। তাই আবর্তন করার সময় পর্যায়ক্রমে গােলাকার পৃথিবীর যে অংশে সূর্যের আলো পড়ে, সেখানে হয় দিন। বিপরীত অংশে সূর্যের ঙে পড়ে না, সঙ্গে সেখানে হয় রাত ।
(2) সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করে বলেই প্রতিদিন পূর্ব দিকে সূর্যোদয় এবং পশ্চিম দিকে সূর্যাস্ত হয়।
[3]সময় নির্ধারণ: নিজ অক্ষের ওপর এবার সম্পূর্ণভাবে আবর্তন করতে পৃথিবীর সময় লাগে প্রায় 24 ঘণ্টা বা 1 দিন। প্রতিটি ঘন্টা 60 মিনিটে এবং প্রতিটি মিনিটকে 60 সেকেন্ডে ভাগ করে সমাজের সময় নির্ধারণ করা যায় ।
[4] নিয়ত বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্রের দিক বিক্ষেপ -- নিরক্ষরেখা থেকে মেরুর দিকে পৃথিবীর পরিধি ক্রমশ কমতে থাকে ফলে নিরক্ষরেখায় পৃথিবীর আবর্তনের গতিবেগ সবচেয়ে বেশি হয় এবং মেরুর দিকে ক্রমশ কমে যায়। পৃথিবীর আবর্তন বেগের এই অর্থের জন্য নিয়ত বায়ুপ্রবাহ, সমুদ্রস্রোত প্রভৃতি উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেঁকে প্রবাহিত হায় ।
[ 5]জোয়ারভাটা সৃষ্টি; মাধ্যাকর্ষণের নিয়ম অনুসারে চাঁদ ও সুর্য উভয়ই পৃথিবীকে আকর্ষণ করে। কিন্তু সূর্যের তুলনায় চাদ পৃথিবীর নিকটবর্তী বলে পৃথিবীর ওপর চাদের আকর্ষণের প্রভাব অপেক্ষাকৃত বেশি আবর্তনের সময় পৃথিবীর যে স্থান চাদের সামনে আসে সেই স্থানের জলরাশি ফুলে ওঠে অর্থাৎ সেই স্থানে মুখ্য জোয়ার হয়। একই সময় এর ঠিক বিপরীত দিকে, পৃথিবীর আবর্তনের ফলে উদ্ভূত কেন্দ্র বহির্মুখী বা বিকর্ষণ শক্তির প্রভাবে গৌণ জোয়ার হয় এবং এর সমকোণে অবস্থিত স্থানগুলিতে তখন ভাটা হয়।
(6) উদ্ভিদ ও প্রাণী জগৎ সৃষ্টি: আবর্তন গতি না থাকলে পৃথিবীর নির্দিষ্ট একটি অর্ধাংশে চিরকাল রাত থাকত, ফলে আলাে ও উত্তাপের অভাবে কোনাে কিছুই জন্মাতে পারত না। আর, অপর অর্ধাংশে চিরকাল দিন থাকে—প্রচণ্ড উত্তাপে সেখানেও কোনাে কিছু জন্মাতে পারত না। আবর্তন গতির জন্য পর্যায়ক্রমে দিন ও রাত হয় বলেও তাপের সমতা বজায় থাকে এবং পৃথিবীতে জীবজগৎ সৃষ্টি হয়েছে ।
কমবেশি ১৫০ টি শব্দের মধ্যে উত্তর দাও। প্রতিটা প্রশ্নের মান- (৫)

(১) নিউজিল্যান্ডে গ্রীষ্মকালে বড়দিন পালন করা হয় কেন ?
উত্তর - নিউজিল্যান্ডে গ্রীষ্মকালে বড়দিন পালন করা হয় তার কারণ হলো নিউজিল্যান্ড দক্ষিণ গোলার্ধের একটি দেশ। সূর্যকে পরিক্রমণ করার সময়, নভেম্বর থেকে জানুয়ারি এই তিন মাস পৃথিবী তার কক্ষপথে এমনভাবে অবস্থান করে যে, এইসময় দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের দিকে ঝুঁকে থাকে এবং উত্তর গোলার্ধ সূর্য থেকে দূরে থাকে। তাই, নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসে উত্তর গোলার্ধে শীতকাল হয় এবং দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল হয়। যেহেতু বড়দিন পালন করা হয় 25 ডিসেম্বর, তাই তখন দক্ষিণ গোলার্ধে গৃষ্ম কাল এবং উত্তর গোলার্ধে শীতকাল। এইজন্য নিউজিল্যান্ডে গ্রীষ্মকালে বড়দিন পালন করা হয় ।
(২) নিরক্ষরেখা থেকে মেরুর দিকে উত্তাপ কমে যায় কখন ?
উত্তর - নিরক্ষরেখা থেকে মেরুর দিকে ক্রমশ উত্তাপ কমে যায় তার কারণ হল—পৃথিবীর গােলীয় আকার, পরিক্রমণ গতি, পৃথিবীর মেরুরেখার সঙ্গে 66° কোণে অবস্থান ইত্যাদি কারণে ।পৃথিবীর সর্বত্র সূর্যের আলাে সমানভাবে পড়ে না এবং উত্তাপ সমান হয় না। নিরক্ষীয় অঞ্চলে সূর্যালােক লম্বভাবে এবং মেরুর দিকে হেলে পড়ে। তাই নিরক্ষীয় অঞ্লে উত্তাপ বেশি হয়। কিন্তু মেরু অঞ্চলে উত্তাপ কম হয়। এর কারণগুলি হল [1] তির্যক রশ্মি বেশি বায়ুস্তর ভেদ করে আসে তাই একে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়। [2] তির্যক রশ্মি অনেক বেশি জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে ।
(৩) প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত পৃথিবীর গতির পর্যবেক্ষণের ইতিহাস লেখো ?
উত্তর - পৃথিবীর গতি সম্বন্ধীয় বিভিন্ন পর্যবেক্ষণের ইতিহাস:- বহু প্রাচীনকাল থেকেই পৃথিবীর গতির প্রমাণ সম্পর্কে নানা ধরনের মতপার্থক্য ছিল। প্রাচীনকালের বহু দার্শনিক, বিজ্ঞানী, ভৌগােলিক, গণিতজ্ঞ, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা নানা বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে পৃথিবীর গতি সম্পর্কে নানা ধারণার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এরূপ মতপার্থক্যের ফলশ্রুতি হিসেবে দু-ধরনের মতবাদের সৃষ্টি হয়। যথা [1] পৃথিবীকেন্দ্রিক (geocentric) মতবাদ এবং [2] সূর্যকেন্দ্রিক (heliocentric) মতবাদ ।
পৃথিবী কেন্দ্রিক মতবাদ : প্রাচীনকালে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা পৃথিবীকেন্দ্রিক মহাবিশ্বের ধারণা পােষণ করতেন। তাঁরা মনে করতেন, পৃথিবীকে কেন্দ্র করে বৃত্তাকার পথে সূর্য, চাঁদ এবং অন্যান্য গ্রহরা ঘুরছে। এঁদের মধ্যে অ্যারিস্টটল (384-322 খ্রিস্টপূর্বাব্দ), হেরাক্লিড (330 খ্রিস্টপূর্বাব্দ), অ্যারিস্টার্কাস (312-230 খ্রিস্টপূর্বাব্দ), টলেমি (90-168 খ্রিস্টাব্দ) প্রমুখ প্রধান। প্লেটো মনে করতেন, ব্রহ্মান্ডের ঠিক মাঝখানে পৃথিবী অবস্থা করছে। মধ্যযুগে রোমান ক্যাথলিক চার্চ ও এই মতবাদের সমর্থক ছিলেন।
[2) সূর্যকেন্দ্রিক মতবাদ : ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী আর্যভট (476-550 খ্রি.) প্রথম বলেন যে, পৃথিবী স্থির নয় এটি গতিশীল এবং পৃথিবী প্রতিদিন একবার করে নিজ অক্ষে পাক খায়। তবে 1530 খ্রিস্টাব্দে পােল্যান্ডের জ্যোতির্বিজ্ঞানী নিকোলাস কোপারনিকাস তাঁর প্রন্থে প্রথম উল্লেখ করেন, পৃথিবী তার নিজের আক্ষের ওপর সর্বদা ঘুরছে। অর্থাৎ, তিনিই প্রথম সূর্য কেন্দ্রিক ধারণা দেন। পরবর্তীকালে জোহানেস কেপলার 1609 খ্রিস্টাব্দে বলেন, গ্রহগুলোর কক্ষপথ উপবৃত্তাকার। গ্যালিলিও গ্যালিলি দূরবীক্ষণ যন্ত্র তৈরি করেন এবং উপগ্রহগুলির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে সূর্যকেন্দ্রিক মতবাদকে সমর্থন করেন। পরে 1687 খ্রিস্টাব্দে স্যার আইজ্যাক নিউটন মহাকর্ষ সূত্রের সাহায্যে প্রমাণ করেন পৃথিবীসহ অন্যান্য গ্রহ গুলি সূর্যের চারিদিকে পরিক্রমণ করছে। এডমন্ড হ্যালি (1656-1742 খ্রি.) ধুমকেতু পর্যবেক্ষণ করে বলেন যে পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘুরছে। বর্তমানকালে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে প্রমাণ করা গেছে যে, সূর্যকেন্দ্রিক মতবাদটিই সঠিক।
(৪) পৃথিবীর আহ্নিক গতির সপক্ষে প্রমাণগুলি লেখ
উত্তর - পৃথিবীর আহ্নিক গতির সাপেক্ষে প্রমাণসমূহ: যে গতির দ্বারা পৃথিবী নিজ অক্ষ বা মেরুদণ্ডের ওপর পশ্চিম থেকে পর্বে (ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে) 23 ঘণ্টা 56 মিনিট 4 সেকেন্ডে বা প্রায় 24 ঘণ্টায় একবার আবর্তন করে, সেই গতিকে আবর্তন বা আহ্নিক গতি (rotational movement) বলা হয়। পৃথিবীর যে আহ্নিক গতি আছে তা বিভিন্নভাবে প্রমাণ করা যায়, যেমন-
[1] দিন ও রাতের পর্যায়ক্রমিক সংঘটন; - আবর্তন গতি আছে বলেই মােটামুটি প্রতি 24 ঘণ্টায় পৃথিবীর যে-কোন স্থান পর্যায়ক্রমে একবার সূর্যের সামনে আসে। যদি পৃথিবীর আবর্তন গতি না থাকত, তাহলে পৃথিবীর যে অংশ সূর্যের সামনে থাকত সেখানে সবসময়েই দিন ও বিপরীত অংশে চির অন্ধকার বা রাত বিরাজ করত।
[2] পৃথিবীর অভিগত গােলীয় আকৃতি: কোনাে নমনীয় বস্তু তার অক্ষরেখার চারিদিকে অনবরত আবর্তন করলে মাঝাখানে সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রবিমুখ শক্তির উদ্ভব হয় এবং এর ফলে বস্তুর মধ্যভাগ কিছুটা স্ফীত এবং প্রান্তদ্বয় কিছুটা চাপা হয়। পৃথিবী নিজের মেরুদণ্ডের চারিদিকে অনবরত আবর্তন করে চলেছে বলেই পৃথিবীর মেরুদ্বয় চাপা ও নিরক্ষীয় অংশ স্ফীত হয়েছে।
[3] খুব উঁচু স্থান থেকে পতনশীল প্রস্তরখণ্ডের আপাত সঞ্চালন পর্যবেক্ষণ: খুব উঁচু স্থান থেকে একটি প্রস্তরখণ্ড নিল বায়ুর মধ্য দিয়ে নীচে ফেলে দিলে দেখা যায় পাথরটি সােজাসুজি না পড়ে একটু পূর্বদিকে এগিয়ে পড়ে। পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে পৃথিবীর আবর্তন গতির জন্য ঘটনা ঘটে ।
[4]কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তােলা ছবি : মহাকাশে পাঠানাে বিভিন্ন কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে যে ছবি তােলা হয়েছে তা থেকে পৃথিবীর আবর্তন গতির নির্ভুল ও সর্বাধুনিক প্রমাণ পাওয়া যায়।
(৫) পৃথিবীর আহ্নিক গতির ফলাফল আলোচনা করো ।
উত্তর - পৃথিবীর যেকোনো একটি গতিবেগ গতির ফলাফল হল -- যে গতির সারা পৃথিবী নিজ অক্ষে মেরুদন্ডের উপরে পশ্চিম থেকে পূর্বে (ঘড়ির কাটার বিপরীতে) 2 মণ্টা এ মিনিট 4 সেকেন্ডে বা প্রায় 24 ঘণ্টায় একবার আবর্তন করে, সেই গতিকে আবর্তন বা আহ্নিক গতি বলা হয়।
পৃথিবীর আবর্তন গতির ফলাফল সমূহ ॥ [1]পর্যায়ক্রমে দিন ও রাত সংগঠন : পৃথিবী গােলাকার এবং নিজস্ব কোনাে আলো নেই। সূর্যের আলোতে পৃথিবী আলােকিত এবং উত্তপ্ত হয়। তাই আবর্তন করার সময় পর্যায়ক্রমে গােলাকার পৃথিবীর যে অংশে সূর্যের আলো পড়ে, সেখানে হয় দিন। বিপরীত অংশে সূর্যের ঙে পড়ে না, সঙ্গে সেখানে হয় রাত ।
(2) সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করে বলেই প্রতিদিন পূর্ব দিকে সূর্যোদয় এবং পশ্চিম দিকে সূর্যাস্ত হয়।
[3]সময় নির্ধারণ: নিজ অক্ষের ওপর এবার সম্পূর্ণভাবে আবর্তন করতে পৃথিবীর সময় লাগে প্রায় 24 ঘণ্টা বা 1 দিন। প্রতিটি ঘন্টা 60 মিনিটে এবং প্রতিটি মিনিটকে 60 সেকেন্ডে ভাগ করে সমাজের সময় নির্ধারণ করা যায় ।
[4] নিয়ত বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্রের দিক বিক্ষেপ -- নিরক্ষরেখা থেকে মেরুর দিকে পৃথিবীর পরিধি ক্রমশ কমতে থাকে ফলে নিরক্ষরেখায় পৃথিবীর আবর্তনের গতিবেগ সবচেয়ে বেশি হয় এবং মেরুর দিকে ক্রমশ কমে যায়। পৃথিবীর আবর্তন বেগের এই অর্থের জন্য নিয়ত বায়ুপ্রবাহ, সমুদ্রস্রোত প্রভৃতি উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেঁকে প্রবাহিত হায় ।
[ 5]জোয়ারভাটা সৃষ্টি; মাধ্যাকর্ষণের নিয়ম অনুসারে চাঁদ ও সুর্য উভয়ই পৃথিবীকে আকর্ষণ করে। কিন্তু সূর্যের তুলনায় চাদ পৃথিবীর নিকটবর্তী বলে পৃথিবীর ওপর চাদের আকর্ষণের প্রভাব অপেক্ষাকৃত বেশি আবর্তনের সময় পৃথিবীর যে স্থান চাদের সামনে আসে সেই স্থানের জলরাশি ফুলে ওঠে অর্থাৎ সেই স্থানে মুখ্য জোয়ার হয়। একই সময় এর ঠিক বিপরীত দিকে, পৃথিবীর আবর্তনের ফলে উদ্ভূত কেন্দ্র বহির্মুখী বা বিকর্ষণ শক্তির প্রভাবে গৌণ জোয়ার হয় এবং এর সমকোণে অবস্থিত স্থানগুলিতে তখন ভাটা হয়।
(6) উদ্ভিদ ও প্রাণী জগৎ সৃষ্টি: আবর্তন গতি না থাকলে পৃথিবীর নির্দিষ্ট একটি অর্ধাংশে চিরকাল রাত থাকত, ফলে আলাে ও উত্তাপের অভাবে কোনাে কিছুই জন্মাতে পারত না। আর, অপর অর্ধাংশে চিরকাল দিন থাকে—প্রচণ্ড উত্তাপে সেখানেও কোনাে কিছু জন্মাতে পারত না। আবর্তন গতির জন্য পর্যায়ক্রমে দিন ও রাত হয় বলেও তাপের সমতা বজায় থাকে এবং পৃথিবীতে জীবজগৎ সৃষ্টি হয়েছে ।


0 Comments