Homehistoryনবম শ্রেণির ইতিহাস এর মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সমস্ত প্রশ্ন এবং উত্তর পার্ট ১ । Model activity tasks history Class 9 part 1 .
নবম শ্রেণির ইতিহাস এর মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সমস্ত প্রশ্ন এবং উত্তর পার্ট ১ । Model activity tasks history Class 9 part 1 .
আজকে আমরা আলোচনা করব নবম শ্রেণির ইতিহাস এর মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সমস্ত প্রশ্ন এবং উত্তর নিয়ে পার্ট ১
(ক) নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : (তিন - চারটি বাক্যে)
(১). চতুর্দশ লুইয়ের আমিই রাষ্ট্র উক্তিটি বুরবো রাজবংশের কোন্ চরিত্রকে প্রকাশ করে ?
উত্তর :-
বুরবো শাসনাধীনে ফ্রান্সে অতি-কেন্দ্রিভূত স্বৈরাচারী রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত ছিল। চতুর্দশ লুইয়ের আমিই রাষ্ট্র' বা যােড়শ লুইয়ের আমার ইচ্ছাই আইন’ এই ধুরনের উদ্ধত আস্ফালন নিঃন্দেহে বুরবো রাজাদের সীমাহীন স্বৈরাচারীতা তথা আত্মম্ভরিতার প্রকাশ। রাজারা দৈবস্বত্ত্বাধিকার তত্ত্বে বিশ্বাসী ছিলেন এবং তাঁরা বংশানুক্রমিকভাবে শাসন কার্য পরিচালনা করতেন। ১৬১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে পরবর্তী ১৭৫ বছর স্টেটস জেনারেল বা ফরাসি জাতীয় সভার কোনাে অধিবেশন আহ্বান করা করা হয়নি। রাজারা নিজ ইচ্ছানুসারে সীমাহীন স্বৈরতন্ত্রের মাধ্যমে দেশ শাসন করতেন। সেখানে প্রজাদের মতামতের কোনাে মূল্য ছিল না এবং রাজতন্ত্র জনগন থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন ছিল।

উত্তর:-
নেপোলিয়নের স্বৈরাচারী নীতি এবং সামাজিক কার্যকলাপ ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলির মনে যে সন্মিলিত ভীতি তথা প্রতিশােধ স্পৃহার জন্ম দেয়, তা শেষ পর্যন্ত নেপােলিয়ানের পতনকে তরান্বিত করেছিল। ১৭৯৯ এবং ১৮০৪ খ্রিস্টাব্দে গঠিত যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শক্তিজোটকে তিনি পরাস্ত করতে সমর্থ হলেও ১৮০৭ সালে স্পেন অভিযানকে কেন্দ্র করে সংঘটিত দীর্ঘস্থায়ী উপদ্বীপের যুদ্ধে তার বিপুল পরাজয় নেপোলিয়নের অপরাজেয় ভাবমূর্তিতে আঘাত হানে। অন্যদিকে স্পেনের সাফল্য ইউরোপের অন্যান্য দেশকে নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে উৎসাহিত করে। ১৮১৩ সালে শুরু হয় ইউরোপের ১৩ টি দেশের ফ্রান্স-বিরােধি জাতিসমূহের যুদ্ধ। এই যুদ্ধে নেপোলিয়ন পরাজিত হন এবং তার সাম্রাজ্য তাসের ঘরের মতাে ভেঙে পরে।
(খ) ইউরোপের মানচিত্রে নিমােক্ত স্থানগুলি চিহ্নিত করো।
প্যারিস,
স্পেন
পর্তুগাল,
গ্রেট ব্রিটেন,
মস্কো
উত্তর :

(ঘ) উপযুক্ত তথ্য সহযোগে নিচের ছকটি পূরণ করো ?
উত্তরঃ-
নবম শ্রেণির ইতিহাস এর মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সমস্ত প্রশ্ন এবং উত্তর পার্ট ১
(ক) নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : (তিন - চারটি বাক্যে)
(১). চতুর্দশ লুইয়ের আমিই রাষ্ট্র উক্তিটি বুরবো রাজবংশের কোন্ চরিত্রকে প্রকাশ করে ?
উত্তর :-
বুরবো শাসনাধীনে ফ্রান্সে অতি-কেন্দ্রিভূত স্বৈরাচারী রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত ছিল। চতুর্দশ লুইয়ের আমিই রাষ্ট্র' বা যােড়শ লুইয়ের আমার ইচ্ছাই আইন’ এই ধুরনের উদ্ধত আস্ফালন নিঃন্দেহে বুরবো রাজাদের সীমাহীন স্বৈরাচারীতা তথা আত্মম্ভরিতার প্রকাশ। রাজারা দৈবস্বত্ত্বাধিকার তত্ত্বে বিশ্বাসী ছিলেন এবং তাঁরা বংশানুক্রমিকভাবে শাসন কার্য পরিচালনা করতেন। ১৬১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে পরবর্তী ১৭৫ বছর স্টেটস জেনারেল বা ফরাসি জাতীয় সভার কোনাে অধিবেশন আহ্বান করা করা হয়নি। রাজারা নিজ ইচ্ছানুসারে সীমাহীন স্বৈরতন্ত্রের মাধ্যমে দেশ শাসন করতেন। সেখানে প্রজাদের মতামতের কোনাে মূল্য ছিল না এবং রাজতন্ত্র জনগন থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন ছিল।

(২).ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলির জোটবদ্ধতা কিভাবে নেপােলিয়ানের পতনকে তরান্বিত করেছিল ?
উত্তর:-
নেপোলিয়নের স্বৈরাচারী নীতি এবং সামাজিক কার্যকলাপ ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলির মনে যে সন্মিলিত ভীতি তথা প্রতিশােধ স্পৃহার জন্ম দেয়, তা শেষ পর্যন্ত নেপােলিয়ানের পতনকে তরান্বিত করেছিল। ১৭৯৯ এবং ১৮০৪ খ্রিস্টাব্দে গঠিত যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শক্তিজোটকে তিনি পরাস্ত করতে সমর্থ হলেও ১৮০৭ সালে স্পেন অভিযানকে কেন্দ্র করে সংঘটিত দীর্ঘস্থায়ী উপদ্বীপের যুদ্ধে তার বিপুল পরাজয় নেপোলিয়নের অপরাজেয় ভাবমূর্তিতে আঘাত হানে। অন্যদিকে স্পেনের সাফল্য ইউরোপের অন্যান্য দেশকে নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে উৎসাহিত করে। ১৮১৩ সালে শুরু হয় ইউরোপের ১৩ টি দেশের ফ্রান্স-বিরােধি জাতিসমূহের যুদ্ধ। এই যুদ্ধে নেপোলিয়ন পরাজিত হন এবং তার সাম্রাজ্য তাসের ঘরের মতাে ভেঙে পরে।
(খ) ইউরোপের মানচিত্রে নিমােক্ত স্থানগুলি চিহ্নিত করো।
প্যারিস,
স্পেন
পর্তুগাল,
গ্রেট ব্রিটেন,
মস্কো
উত্তর :

(গ) নীচের শব্দগুলি কোনটি পাশের কোন্ বক্সের মধ্যে বসবে?একটি শব্দ একাধিক বক্সের মধ্যে বসতে পারে।
১. সুবিধা ভােগি শ্রেণী
২. কৃষক, শ্রমিক, অভিজাত
৩. যাজক
৪. সুবিধা বঞ্চিত শ্রেণি
৫. জন্মসূত্রে অভিজাত
৬. সাঁকুলোৎ
৭. বুজোয়া
৮. সাবেকি / দরবারি অভিজাত
উত্তর:-
প্রথম সম্প্রদায় - (১) সুবিধা ভোগী শ্রেণি , (৩) যাজক ।
দ্বিতীয় সম্প্রদায় - (৫) জন্মসূত্রে অভিজাত , (৮) সাবেকি / দরবারি অভিজাত ।
তৃতীয় সম্প্রদায় - (২.) কৃষক, শ্রমিক, অভিজাত , (৪). সুবিধা বঞ্চিত শ্রেণি , (৬). সাঁকুলোৎ , (৭). বুজোয়া ।
১. সুবিধা ভােগি শ্রেণী
২. কৃষক, শ্রমিক, অভিজাত
৩. যাজক
৪. সুবিধা বঞ্চিত শ্রেণি
৫. জন্মসূত্রে অভিজাত
৬. সাঁকুলোৎ
৭. বুজোয়া
৮. সাবেকি / দরবারি অভিজাত
উত্তর:-
প্রথম সম্প্রদায় - (১) সুবিধা ভোগী শ্রেণি , (৩) যাজক ।
দ্বিতীয় সম্প্রদায় - (৫) জন্মসূত্রে অভিজাত , (৮) সাবেকি / দরবারি অভিজাত ।
তৃতীয় সম্প্রদায় - (২.) কৃষক, শ্রমিক, অভিজাত , (৪). সুবিধা বঞ্চিত শ্রেণি , (৬). সাঁকুলোৎ , (৭). বুজোয়া ।
(ঘ) উপযুক্ত তথ্য সহযোগে নিচের ছকটি পূরণ করো ?
উত্তরঃ-
| দার্শনিক | রচনা | বক্তব্য |
|---|---|---|
| রুশো | ১. সামাজিক চুক্তি , ২. অসাম্য এর সূত্রপাত | (১)এই গ্রন্থে রুশো বলেছেন যে, ঈশ্বর নন, একদিন 'জনগনের ইচ্ছা অনুসারে এক চুক্তির মাধ্যমে রাজা শাসনক্ষমতা পেয়েছেন। তাই রাজা যদি স্বৈরাচারী হন কিংবা জনকল্যান করেন, তবে তাকে পদচ্যুত করার অধিকার জনগনের আছে। এককথায় এই গ্রন্থে গণ-সার্বভৌমত্বের জয়গান ঘােষিত হয়েছে। (২) এই এই গ্রন্থে রুশো বলেছেন যে, মানুষ মাত্রেই স্বাধীন - হয়ে জন্মায়, কিন্তু স্বৈরাচারী সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা তাকে ইকুয়ালিটি শৃঙ্খলিত করে রাখে। রুশো এই স্বৈরাচারী সমাজ ব্যবস্থা ভেঙে ফেলার ডাক দিয়েছেন এই গ্রঁন্থে তাঁর "Man is born free and every where he is in chains |
| মস্তেস্কু | (১) দা স্পিরিট অফ লজ। (২) দ্য পার্শিয়ান লেটার্স | (১) এই গ্রন্থে মন্তেস্কু ঈশ্বর-দত্ত রাজক্ষমতা তত্ত্বের তীব্র সমালােচনা করেছেন এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষার্থে রাষ্ট্রের আইন শাসন ও বিচার বিভাগের পৃথকীকরনের পক্ষে সওয়াল করেছেন। (২) ১৭২১ সালে প্রকাশিত এই গ্রন্থে দার্শনিক মন্তেস্কু ফ্রান্সে পরিভ্রমনরত দুজন পারসিক নাগরিক উজবেক ও রিকার অভিজ্ঞতা ও তাদের চিঠিপত্র মধ্যে দিয়ে ফ্রান্সের প্রচলিত সমাজব্যবস্থা, অভিজাততন্ত্র ও রাজতন্ত্রের বিভিন্ন দুর্বলতা ও ত্রুটির কঠোর সমালােচনা করেছেন। বিপ্লবের জন্য জনগনের মানসিক প্রস্তুতিতে এই গ্রন্থের বড়াে ভূমিকা ছিল। |
| ভলতেয়ার | (১) কাদীদ। (২) লেতর ফিলোজফিক | (১) এই বহুখ্যাত গ্রন্থে দার্শনিক ভলতেয়ার তীব্র ব্যাঙ্গাত্মক লেখনীর মাধ্যমে তিনি ফরাসি ক্যাথলিক গির্জা ও স্বৈরাচারী রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সমালােচনায় মুখর হয়েছেন। নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্রের বদলে নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্রের জয়গান ঘােষিত হয়েছে তাঁর এই গ্রন্থে। (২) এই গ্রন্থে দার্শনিক ভলতেয়ার তার ইংল্যান্ডের প্রবাস | জীবনের অভিজ্ঞতার বর্ণনার পাশাপাশি ফ্রান্সের প্রচলিত স্বৈরাচারী রাষ্ট্র, সমাজব্যবস্থা এবং চার্চের দুর্নীতির চরম সমালােচনা করেছেন এবং বিপ্লবের পক্ষে জনমত তৈরি করে দিয়েছেন। তিনি গির্জাকে বিশেষ অধিকারপ্রাপ্ত উৎপাত বলে সমালােচনা করেছেন। |
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------
নবম শ্রেণীর ইতিহাস অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সমস্ত প্রশ্ন এবং উত্তর পার্ট 2 । Class 9 model activity task history part 2 । ফরাসি বিপ্লব কীভাবে সামন্ততন্ত্রের
আজকে আমরা আলোচনা করব নবম শ্রেণীর ইতিহাস অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সমস্ত প্রশ্ন এবং উত্তর নিয়ে পার্ট 2

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখাে :
১. ফরাসি বিপ্লব কীভাবে সামন্ততন্ত্রের বিলােপ ঘটিয়েছিল ?
উত্তর :-
নবম শ্রেণীর ইতিহাস অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সমস্ত প্রশ্ন এবং উত্তর পার্ট 2

১. ফরাসি বিপ্লব কীভাবে সামন্ততন্ত্রের বিলােপ ঘটিয়েছিল ?
উত্তর :-
ভূমিকা :- ফরাসি সম্রাট ষোড়শ লুই । ১৭
৮৯ খ্রি: স্টেটস জেনারেলের অধিবেশন আহ্বান করে । এই অধিবেশনে সম্রাট তৃতীয় শ্রেণীর প্রতিনিধিদের মাথাপিছু ভোটদানের দাবি না মানলে তারা নিজেদের সভাকে জাতীয় সভা বলে ঘোষণা করে এবং টেনিস কোর্টের শোপথ (২০ জুন ১৭৮৯ ) নিয়ে নতুন সংবিধান রচনার অঙ্গীকার করে এইভাবে জাতীয় সভা সংবিধান সভাই রূপান্তরিত হয় ।
সামন্ততন্ত্রের বিলোপ :- বিপ্লবের যুগে ফরাসি সংবিধান সভা দু বছরের চেষ্টাই একটি সংবিধান রচনা করে । এই সংবিধান রচনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন লাফায়েৎ , মিরাবো , রবসপিয়ার প্রমুখ ।
1789 খ্রিস্টাব্দে 4 আগস্ট জাতীয় সভার ফ্রান্সে সামন্তপ্রথার বিলোপ করা হয়েছিল প্রসঙ্গত উল্লেখ সামন্তপ্রথার অবলুপ্তির ফলে ফ্রান্সে ভূমিদাস প্রথা বেগার শ্রম বা করভি প্রথা সামন্তকার ম্যানরকার ধর্মকার বিশেষ অধিকার যথা সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার অন্ত শুল্ক প্রথা লোপ পায় 4 ঠা আগস্টে ঘোষণা কার্যত ফ্রান্সে সামন্ত প্রথার মৃত্যু ঘন্টা বাজায় ফলে অভিজাতদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয় । ও কৃষকদের হাতে হাতে তুলে দেওয়া হয় ।
২. 'সন্ত্রাসের রাজত্ব নামকরণ কতটা যুক্তিযুক্ত ?
উত্তর :- ফ্রান্সে রোবসপিয়ার এর নেতৃত্বে জেকবিন দল 1793 থেকে 1794 খ্রিস্টাব্দে যে শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিল তা ইতিহাসের রাজত্ব বা সন্ত্রাসের শাসন নামে পরিচিত ।
নিতিগ্রহন :- জেকোবিন দল বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানের জন্য কঠোর দমননীতি অনুসরণ করে ফ্রান্স সন্ত্রাসের শাসন নীতি গ্রহণ করেছিল ।
স্থায়িত্ব :- সন্ত্রাসের শাসন চলেছিল প্রায় 13 মাস 1793 খ্রিস্টাব্দে জুন থেকে 1794 খ্রিস্টাব্দের জুলাই পর্যন্ত । এই সময় ফ্রান্সের 30 থেকে 35 হাজার মানুষকে গিলোটিনে বা অন্যভাবে হত্যা করেছিল ।
নেতা :- সন্ত্রাসের শাসকের প্রধান পরিচালক ছিলেন জেকোবিন নেতা রোবসপিয়ার ।
উদ্দেশ্য :- সন্ত্রাসের শাসনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল -
সামন্ততন্ত্রের বিলোপ :- বিপ্লবের যুগে ফরাসি সংবিধান সভা দু বছরের চেষ্টাই একটি সংবিধান রচনা করে । এই সংবিধান রচনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন লাফায়েৎ , মিরাবো , রবসপিয়ার প্রমুখ ।
1789 খ্রিস্টাব্দে 4 আগস্ট জাতীয় সভার ফ্রান্সে সামন্তপ্রথার বিলোপ করা হয়েছিল প্রসঙ্গত উল্লেখ সামন্তপ্রথার অবলুপ্তির ফলে ফ্রান্সে ভূমিদাস প্রথা বেগার শ্রম বা করভি প্রথা সামন্তকার ম্যানরকার ধর্মকার বিশেষ অধিকার যথা সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার অন্ত শুল্ক প্রথা লোপ পায় 4 ঠা আগস্টে ঘোষণা কার্যত ফ্রান্সে সামন্ত প্রথার মৃত্যু ঘন্টা বাজায় ফলে অভিজাতদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয় । ও কৃষকদের হাতে হাতে তুলে দেওয়া হয় ।
২. 'সন্ত্রাসের রাজত্ব নামকরণ কতটা যুক্তিযুক্ত ?
উত্তর :- ফ্রান্সে রোবসপিয়ার এর নেতৃত্বে জেকবিন দল 1793 থেকে 1794 খ্রিস্টাব্দে যে শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিল তা ইতিহাসের রাজত্ব বা সন্ত্রাসের শাসন নামে পরিচিত ।
নিতিগ্রহন :- জেকোবিন দল বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানের জন্য কঠোর দমননীতি অনুসরণ করে ফ্রান্স সন্ত্রাসের শাসন নীতি গ্রহণ করেছিল ।
স্থায়িত্ব :- সন্ত্রাসের শাসন চলেছিল প্রায় 13 মাস 1793 খ্রিস্টাব্দে জুন থেকে 1794 খ্রিস্টাব্দের জুলাই পর্যন্ত । এই সময় ফ্রান্সের 30 থেকে 35 হাজার মানুষকে গিলোটিনে বা অন্যভাবে হত্যা করেছিল ।
নেতা :- সন্ত্রাসের শাসকের প্রধান পরিচালক ছিলেন জেকোবিন নেতা রোবসপিয়ার ।
উদ্দেশ্য :- সন্ত্রাসের শাসনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল -
(i) ভিতি প্রদর্শন করে ফ্রান্সের জাতীয় ও সংহতি রক্ষা করা ।
(ii) ফ্রান্সের অভ্যন্তরে কালোবাজারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা ।
সন্ত্রাসের ভয়াবহতা :- সন্ত্রাসের রাজত্ব কালে প্রায় 30 থেকে 35 হাজার নর-নারীকে গিলোটিন যন্ত্র হত্যা করা হয় সন্দেহের ওহনে প্রায় 3 লক্ষ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয় আরো অনেক মানুষ নিখোঁজ হয়ে যান যাদের অনেকে জলে ডুবিয়ে বা অন্য ভাবে হত্যা করা হয় ।
এই আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারি সন্ত্রাসের রাজত্ব নামকরণ কতটা যুক্তি যুক্ত ।
৩. নীচের প্রতিটি বিষয়/ব্যক্তি সম্পর্কে একটি করে বাক্য লেখ :
(ক) অঁসিয়া রেজিম :
উত্তর :- অঁসিয়া রেজিম কথার অর্থ হল প্রাচীন আমল 1789 খ্রিস্টাব্দে ফরাসি বিপ্লবের পূর্বে ফ্রান্সে বুরব রাজাদের অমলকে অঁসিয়া রেজিম বলা হয় । এই সময় রাজনৈতিক অবস্থা ছিল সৌরাচারী সামাজিক অবস্থা ছিল বৈষম্যমূলক ফরাসি বিপ্লব এই পুরাতন তন্ত্রের অবসান ঘটিয়েছিল ।
(খ) লেতর-দ্য-ক্যাশে :
উত্তর :- লেতর-দ্য-ক্যাশে হলো ফ্রান্সের প্রচলিত এক ধরনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এর মাধ্যমে যে কোন ব্যক্তিকে বিনা বিচারে গ্রেপ্তার করা যেত ।
(গ) সাঁকুলেৎ :
উত্তর :- বিপ্লব পূর্ণ ফ্রান্সে দরিদ্র মানুষেরা সাঁকুলেৎ নামে পরিচিত ছিলেন প্রকৃত অর্থে শহরে খেটে খাওয়া মানুষেরাই যেমন কারিগর,মুচি ,মেথর ,এমনকি গরামি এই সমস্ত মানুষেরাই সাঁকুলেৎ নামে পরিচিত ছিলেন ।
(ঘ) রােবসপিয়র :
উত্তর :- রােবসপিয়র ছিলেন জেকবিণ দলের নেতা এবং সন্ত্রাসের শাসকের প্রধান পরিচালক ।
৪. উপযুক্ত তথ্য সহযােগে নীচের ছকটি পূরণ করো
উত্তর :
(ii) ফ্রান্সের অভ্যন্তরে কালোবাজারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা ।
সন্ত্রাসের ভয়াবহতা :- সন্ত্রাসের রাজত্ব কালে প্রায় 30 থেকে 35 হাজার নর-নারীকে গিলোটিন যন্ত্র হত্যা করা হয় সন্দেহের ওহনে প্রায় 3 লক্ষ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয় আরো অনেক মানুষ নিখোঁজ হয়ে যান যাদের অনেকে জলে ডুবিয়ে বা অন্য ভাবে হত্যা করা হয় ।
এই আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারি সন্ত্রাসের রাজত্ব নামকরণ কতটা যুক্তি যুক্ত ।
৩. নীচের প্রতিটি বিষয়/ব্যক্তি সম্পর্কে একটি করে বাক্য লেখ :
(ক) অঁসিয়া রেজিম :
উত্তর :- অঁসিয়া রেজিম কথার অর্থ হল প্রাচীন আমল 1789 খ্রিস্টাব্দে ফরাসি বিপ্লবের পূর্বে ফ্রান্সে বুরব রাজাদের অমলকে অঁসিয়া রেজিম বলা হয় । এই সময় রাজনৈতিক অবস্থা ছিল সৌরাচারী সামাজিক অবস্থা ছিল বৈষম্যমূলক ফরাসি বিপ্লব এই পুরাতন তন্ত্রের অবসান ঘটিয়েছিল ।
(খ) লেতর-দ্য-ক্যাশে :
উত্তর :- লেতর-দ্য-ক্যাশে হলো ফ্রান্সের প্রচলিত এক ধরনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এর মাধ্যমে যে কোন ব্যক্তিকে বিনা বিচারে গ্রেপ্তার করা যেত ।
(গ) সাঁকুলেৎ :
উত্তর :- বিপ্লব পূর্ণ ফ্রান্সে দরিদ্র মানুষেরা সাঁকুলেৎ নামে পরিচিত ছিলেন প্রকৃত অর্থে শহরে খেটে খাওয়া মানুষেরাই যেমন কারিগর,মুচি ,মেথর ,এমনকি গরামি এই সমস্ত মানুষেরাই সাঁকুলেৎ নামে পরিচিত ছিলেন ।
(ঘ) রােবসপিয়র :
উত্তর :- রােবসপিয়র ছিলেন জেকবিণ দলের নেতা এবং সন্ত্রাসের শাসকের প্রধান পরিচালক ।
৪. উপযুক্ত তথ্য সহযােগে নীচের ছকটি পূরণ করো
উত্তর :
| যুদ্ধ | বিবাদমান পক্ষ | সময়কাল | ফলাফল |
|---|---|---|---|
| ট্রাফালগারের যুদ্ধ | ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স | ১৮০৫ | (i)ফ্রান্সের শোচনীয় পরাজয় ঘটে (ii) নেপোলিয়নের ইংল্যান্ড জয়ের স্বপ্ন চিরতরে শেষ হয়ে যায় |
| লিফজিগের যুদ্ধ | ফ্রান্স (নেপোলিয়ন) ও মিত্র শক্তি (প্রশিয়া,রাশিয়া, সুইডেন, অস্টিয়া) | ১৮১৩ | (i) এই যুদ্ধে নেপোলিয়ন মিত্রশক্তির কাছে পরাজিত হয় । (ii) এ যুদ্ধে পরাজয়ের পর নেপোলিয়নের সাম্রাজ্যের ভাঙ্গন শুরু হয় । (iii) অস্টিয়া তার হারানো রাজ্য পুনরায় ফিরে পায় |
| ওয়াটারলুর যুদ্ধ | ফ্রান্স ও ডিউক আব ওয়েলিংটন এর নেতৃত্বে ব্রিটিশ বাহিনী ও জার আলেকজান্ডারের নেতৃত্বে রুশ বাহিনী জোট | ১৮১৫ | (i) এই যুদ্ধে নেপোলিয়ন চড়ান্তভাবে পরাজিত হয়। (ii) এই যুদ্ধের ফলে প্যারিসের প্রথম ও দ্বিতীয় সন্ধি ও ভিয়েনা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । (iii) এই যুদ্ধ নেপোলিয়ন ব্রিটিশ নৌশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করে । |
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ইতিহাস নবম শ্রেণি পার্ট 3 । Class 9 history Model Activity Task part 3 । ঘেটো কি..।
আজকে আমরা আলোচনা করব নবম শ্রেণির ইতিহাসের মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সমস্ত উত্তর এবং প্রশ্ন নিয়ে পার্ট 3
(১)
উত্তর
শিল্প বিপ্লবের আগে শ্রমিকরা নিজ গৃহে বসে ছােটোখাট যন্ত্রপাতি দিয়ে পণ্য উৎপাদন করত। এই শিল্পকে বলা হত কুটির শিল্প। কিন্তু শিল্প বিপ্লবের পর বৃহদায়তন কলকারখানা অল্প সময়ে একসঙ্গে অনেক পণ্য উৎপাদন হতে শুরু করে এই ব্যবস্থাকেই বলা হয় ফ্যাক্টরি প্রথা।
২) ক' স্তম্ভের সাথে খ' স্তম্ভ মেলাও।
৩) ৭- ৮ টি বাক্যে উত্তর দাও।
ক. বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির আবিষ্কারের সঙ্গে ইংল্যান্ডের শিল্পবিপ্লবের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করাে।
উত্তর :- ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লবের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল শিল্প প্রযুক্তির বিপ্লব এবং তার সার্থক ব্যবহার । ১. দ্রুতগতিতে লােহা গলাবার জন্য এক বিশেষ ধরনের চুল্লি ব্লাস্ট ফার্নেস আবিষ্কৃত হয় এবং এর ফলে 1770 সালের মধ্যে ইংল্যান্ডের লৌহ যুগের সূচনা হয়। ২. 1733 খ্রিস্টাব্দে থেকে 1785 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ইংল্যান্ডে বিভিন্ন আবিষ্কারের ফলে সুতে কাটা এবং কাপড় বােনার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটে । ৩. বৃহৎ শিল্প স্থাপনের জন্য কয়লার উৎপাদ বৃদ্ধির প্রয়ােজনীয়তা দেখা দিলে খনির মধ্যে ও বাষ্প চালিত যন্ত্রপাতির প্রবর্তন শুরু হয়। 1815 খ্রিস্টাব্দেহামফ্রি ডেভির আবিষ্কৃত নিরাপত্তা বাতি ব্যবহারের ফলে খনিতে কাজ করা অপেক্ষাকৃত সহজ ও কম বিপজ্জনক হয়। এর ফলে কয়লা উত্তোলনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় । ৪. এই সময় পাথরকুচি ও পিচের মাধ্যমে ইংল্যান্ডে উন্নত ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করা হয়। এভাবে দেখা যায় যে, শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি ও পণ্যের গুণগত মান উন্নয়নে শিল্প প্রযুক্তির বিশেষ ভূমিকা ছিল।
খ. ঔপনিবেশিক শক্তিগুলি কেন চীন ও আফ্রিকাকে ব্যবচ্ছেদ করতে চেয়েছিল ?
উত্তর :- শিল্প বিপ্লবের পরে কাঁচামাল সংগ্রহ, বাজার দখল, সাম্রাজ্যবাদী নীতি প্রভৃতি কারণে ইউরোপীয় দেশ গুলির মধ্যে তুমুল ঔপনিবেশিক প্রতিযোগিতা শুরু হয়। যেসব এলাকায় এই প্রকার প্রতিযোগিতা শুরু হয় তার মধ্যে অন্যতম এলাকা হলাে চীন ও আফ্রিকা। 1870 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ইউরোপীয় দেশগুলাের কাছে অজানা ছিল। তাই আফ্রিকা পরিচিত ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ হিসেবে। 1870 এর আগে আফ্রিকায় যে সকল স্থানে বিদেশি উপনিবেশ ছিল সেই সকল স্থান গুলি হল--উত্তমাশা অন্তরীপ, কেপ কলােনি, নাটাল, গিনি ইত্যাদি স্থান। বেলজিয়ামের রাজা দ্বিতীয় লিওপোল্ড আফ্রিকা সম্পর্কে খবর সংগ্রহ করতে আন্তর্জাতিক আফ্রিকা সভা গঠন করেন। তিনি কঙ্গো অববাহিকা উপনিবেশ স্থাপন, করলে ইংল্যান্ড ও বেলজিয়ামের মধ্যে বিরােধ শুরু হয়। একইভাবে চীনের উপরে দখল নিয়ে ইংল্যান্ড, জার্মানি ফ্রান্স ইতালি পর্তুগাল প্রভৃতি দেশগুলির মধ্যে বিরোধ শুরু হয় ।
(১)
(ক) ইয়ং ইতালি দলের লক্ষ্য কী ছিল ?
উত্তর
ইয়ং ইটালি দলের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জোসেফ ম্যাৎসিনি। এই দলের লক্ষ্য ছিল এমন একদল যুবকের সৃষ্টি করা যারা দেশের জন্য সবসময় সর্বস্ব ত্যাগ করতে তৈরি থাকবে। এ ছাড়া শিক্ষা, প্রচার, আত্মত্যাগ ও চরিত্র গঠনের মাধ্যমে ইটালিতে জাতীয়তাবাদের সঞ্চার ঘটবে।

(খ) জোলভারেইন কি ?
উত্তর
১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে অস্ট্রিয়া বাদে জার্মানির বেশিরভাগ রাজ্যে রাশিয়ার নেতৃত্বে যে আন্তঃরাষ্ট্রীয় শুল্ক সংস্থা গঠিত হয়, তাকেই বলা হয় জোলভেরাইন। এর রূপকার ছিলেন জার্মানির অর্থনীতিবিদ ম্যাজেন।
(গ) রিসর্জিমেন্টো বলতে কী বােঝাে?
উত্তর
কার্বোনারি সমিতির হাত ধরে ইতালিতে এক জাতীয়তাবাদী জাগরণ তথা আন্দোলনের জন্ম হয়, যাকে বলা হয় রিসর্জিমেন্টো বা পুনরুত্থান বা নবজাগরণ। এই জাগরণের মধ্যদিয়ে ইটালিবাসী তাদের অতীত ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও বীরগাথা সম্পর্কে বিশেষ অবগত হয়।
(ঘ) ঘেটো কি ?
উত্তর
ইউরোপের বিভিন্ন শহরের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় (যেমন ইহুদিরা) তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে শহরের একটি নির্দিষ্ট ঘেরা জায়গায় এক সঙ্গে বসবাস করত। এই ঘেরা স্থান বা বসতিগুলিকেই বলা হত ঘেটো। উল্লেখ্য ঘেটো কথাটির উদ্ভব হয় ইটালির ভেনিস শহরকে কেন্দ্র করে।
(ঙ) ফ্যাক্টরি প্রথা কি ?
উত্তর
ইয়ং ইটালি দলের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জোসেফ ম্যাৎসিনি। এই দলের লক্ষ্য ছিল এমন একদল যুবকের সৃষ্টি করা যারা দেশের জন্য সবসময় সর্বস্ব ত্যাগ করতে তৈরি থাকবে। এ ছাড়া শিক্ষা, প্রচার, আত্মত্যাগ ও চরিত্র গঠনের মাধ্যমে ইটালিতে জাতীয়তাবাদের সঞ্চার ঘটবে।

(খ) জোলভারেইন কি ?
উত্তর
১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে অস্ট্রিয়া বাদে জার্মানির বেশিরভাগ রাজ্যে রাশিয়ার নেতৃত্বে যে আন্তঃরাষ্ট্রীয় শুল্ক সংস্থা গঠিত হয়, তাকেই বলা হয় জোলভেরাইন। এর রূপকার ছিলেন জার্মানির অর্থনীতিবিদ ম্যাজেন।
(গ) রিসর্জিমেন্টো বলতে কী বােঝাে?
উত্তর
কার্বোনারি সমিতির হাত ধরে ইতালিতে এক জাতীয়তাবাদী জাগরণ তথা আন্দোলনের জন্ম হয়, যাকে বলা হয় রিসর্জিমেন্টো বা পুনরুত্থান বা নবজাগরণ। এই জাগরণের মধ্যদিয়ে ইটালিবাসী তাদের অতীত ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও বীরগাথা সম্পর্কে বিশেষ অবগত হয়।
(ঘ) ঘেটো কি ?
উত্তর
ইউরোপের বিভিন্ন শহরের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় (যেমন ইহুদিরা) তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে শহরের একটি নির্দিষ্ট ঘেরা জায়গায় এক সঙ্গে বসবাস করত। এই ঘেরা স্থান বা বসতিগুলিকেই বলা হত ঘেটো। উল্লেখ্য ঘেটো কথাটির উদ্ভব হয় ইটালির ভেনিস শহরকে কেন্দ্র করে।
(ঙ) ফ্যাক্টরি প্রথা কি ?
উত্তর
শিল্প বিপ্লবের আগে শ্রমিকরা নিজ গৃহে বসে ছােটোখাট যন্ত্রপাতি দিয়ে পণ্য উৎপাদন করত। এই শিল্পকে বলা হত কুটির শিল্প। কিন্তু শিল্প বিপ্লবের পর বৃহদায়তন কলকারখানা অল্প সময়ে একসঙ্গে অনেক পণ্য উৎপাদন হতে শুরু করে এই ব্যবস্থাকেই বলা হয় ফ্যাক্টরি প্রথা।
২) ক' স্তম্ভের সাথে খ' স্তম্ভ মেলাও।
| ক - স্তম্ভ | খ - স্তম্ভ |
|---|---|
| (i) মেটারনিক ব্যবস্থা | (d) ইউরোপের পুরাতন তন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা |
| (ii) বিসমার্ক | (c) রক্ত ও লৌহ নীতি |
| (iii) জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার | (a) ভূমিদাসদের মুক্তি দান |
| (iv) মার্কস ও এঙ্গেলস | (e) কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো |
| (v) প্রুডো | (b) নৈরাজ্যবাদী |
৩) ৭- ৮ টি বাক্যে উত্তর দাও।
ক. বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির আবিষ্কারের সঙ্গে ইংল্যান্ডের শিল্পবিপ্লবের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করাে।
উত্তর :- ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লবের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল শিল্প প্রযুক্তির বিপ্লব এবং তার সার্থক ব্যবহার । ১. দ্রুতগতিতে লােহা গলাবার জন্য এক বিশেষ ধরনের চুল্লি ব্লাস্ট ফার্নেস আবিষ্কৃত হয় এবং এর ফলে 1770 সালের মধ্যে ইংল্যান্ডের লৌহ যুগের সূচনা হয়। ২. 1733 খ্রিস্টাব্দে থেকে 1785 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ইংল্যান্ডে বিভিন্ন আবিষ্কারের ফলে সুতে কাটা এবং কাপড় বােনার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটে । ৩. বৃহৎ শিল্প স্থাপনের জন্য কয়লার উৎপাদ বৃদ্ধির প্রয়ােজনীয়তা দেখা দিলে খনির মধ্যে ও বাষ্প চালিত যন্ত্রপাতির প্রবর্তন শুরু হয়। 1815 খ্রিস্টাব্দেহামফ্রি ডেভির আবিষ্কৃত নিরাপত্তা বাতি ব্যবহারের ফলে খনিতে কাজ করা অপেক্ষাকৃত সহজ ও কম বিপজ্জনক হয়। এর ফলে কয়লা উত্তোলনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় । ৪. এই সময় পাথরকুচি ও পিচের মাধ্যমে ইংল্যান্ডে উন্নত ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করা হয়। এভাবে দেখা যায় যে, শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি ও পণ্যের গুণগত মান উন্নয়নে শিল্প প্রযুক্তির বিশেষ ভূমিকা ছিল।
খ. ঔপনিবেশিক শক্তিগুলি কেন চীন ও আফ্রিকাকে ব্যবচ্ছেদ করতে চেয়েছিল ?
উত্তর :- শিল্প বিপ্লবের পরে কাঁচামাল সংগ্রহ, বাজার দখল, সাম্রাজ্যবাদী নীতি প্রভৃতি কারণে ইউরোপীয় দেশ গুলির মধ্যে তুমুল ঔপনিবেশিক প্রতিযোগিতা শুরু হয়। যেসব এলাকায় এই প্রকার প্রতিযোগিতা শুরু হয় তার মধ্যে অন্যতম এলাকা হলাে চীন ও আফ্রিকা। 1870 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ইউরোপীয় দেশগুলাের কাছে অজানা ছিল। তাই আফ্রিকা পরিচিত ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ হিসেবে। 1870 এর আগে আফ্রিকায় যে সকল স্থানে বিদেশি উপনিবেশ ছিল সেই সকল স্থান গুলি হল--উত্তমাশা অন্তরীপ, কেপ কলােনি, নাটাল, গিনি ইত্যাদি স্থান। বেলজিয়ামের রাজা দ্বিতীয় লিওপোল্ড আফ্রিকা সম্পর্কে খবর সংগ্রহ করতে আন্তর্জাতিক আফ্রিকা সভা গঠন করেন। তিনি কঙ্গো অববাহিকা উপনিবেশ স্থাপন, করলে ইংল্যান্ড ও বেলজিয়ামের মধ্যে বিরােধ শুরু হয়। একইভাবে চীনের উপরে দখল নিয়ে ইংল্যান্ড, জার্মানি ফ্রান্স ইতালি পর্তুগাল প্রভৃতি দেশগুলির মধ্যে বিরোধ শুরু হয় ।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------
0 Comments